Main Menu

নাসিরনগরে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী গ্রেপ্তার

+100%-

স্বামীকে হত্যার দায়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব শীলমন্দির গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে সাবিনা ইয়াসমিন রুনা নামে ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার রুনা তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী দীন ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

নিহতের চাচা শাহ আলম জানান, ১০ বছর আগে দীন ইসলামের সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান আছে। গত প্রায় এক বছর ধরে পারিবারিক নানা কারণে সাবিনার সঙ্গে দীন ইসলামের সম্পর্কের অবনতি হয়। দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর মধ্যে গত বুধবার দীন ইসলাম ১০ দিনের ছুটি নিয়ে দেশে আসেন এবং স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যান। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ২টার দিকে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন দীন ইসলামের মাথায় আঘাত করে তাকে গুরুতর জখম করে বলে তার চাচা দাবি করেন।

শাহ আলম আরো জানান, দীন ইসলামের আঘাত গুরুতর বুঝতে পেরে রুনার পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে বাড়ি থেকে দূরের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর থেকে রুনার বাবার বাড়ির সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান হানান শাহ আলম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাদন চৌধুরী জানান, এই ঘটনায় দীন ইসলামের পরিবারের চাচা বাদী হয়ে স্ত্রী রুনাকে প্রধান আসামি করে মোট চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। এর মধ্যে আজ রুনাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে রেখেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। এখন রুনাকে নাসিরনগর থানায় নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি। তবে মামলার অন্য আসামিরা এখনো পলাতক।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঞ্জুর হোসেন জানান, নাসিরনগর থানা পুলিশ মুন্সীগঞ্জে আসলে তাদের কাছে আসামিকে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে সকালে মুন্সীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে দীন ইসলামের লাশ এসে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনরা। প্রবাসী এই বাংলাদেশির লাশ দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। পরে শীলমন্দির স্কুলমাঠে জানাজা শেষে দীন ইসলামকে দাফন করা হয়।






Shares