Main Menu

নাসিরনগরে সরকারি গাছ চুরির অভিযোগ,আটক এক

+100%-

মুরাদ মৃধা,নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ  নাসিরনগরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলজিইডির রাস্তা থেকে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের পর সোমবার সন্ধ্যায় ইকবাল(৪০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বিটুই গ্রামে।

নাসিরনগর উপজেলা সামাজিক বনায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালামের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিটুই গ্রামের স্থানীয় লোকজন আমায় ফোন করে বলে একটি সরকারি গাছ কাটা হয়েছে এবং গাছটি সোমবার বিকালে স্থানীয় একটি স-মিলে নিয়ে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় গাছসহ স-মিলের মালিক ইকবালকে আটক করা হয়েছে।

এ দিকে গাছ চুরির দায় নিতে চাচ্ছেনা কেউ। বিটুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উদয় কুমার দত্ত বলেন, এ গাছ আমার স্কুলের সামনে। তবে এ গাছের মালিক আমার স্কুল না। আমি এ গাছ কাটতেও বলিনি। আমার স্কুলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিদর্শনে এলে তিনি বলেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে গাছটি কেটে ফেলার ব্যবস্থা করুন। কালবৈশাখী আসছে। যে কোন সময় গাছটি স্কুলের উপর ভেঙ্গে পড়তে পারে। পরে আমি স্থানীয় ইউপি সদস্য কুন্ডা ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাইয়ুমের সাথে কথা বলে শিক্ষা অফিসারের বক্তব্য তার কাছে উপস্থাপন করি।

ইউপি সদস্য কাইয়ুমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক বলেছে গাছ কাটার জন্য তাই আমি গাছ কেটেছি। সরকারি নিয়ম মেনে গাছ কেটেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কুন্ডা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপর দায় চাপিয়ে বলেন,চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে গাছ কেটেছি। তিনি এক সাতে দুজনের উপর দায় চাপিয়েছেন।

কুন্ডা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াছ আলী বলেন, আমি এই গাছ কাটা নিয়ে কিছুই জানিনা। আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। আমার উপর মিথ্যা দায় চাপাতে চাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার বিটুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ৩০ বছর পুরুনো একটি মেহগনি গাছ কর্তন করা হয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯০ সালে বিটুই স্কুলের সামনে সেভ দি সিলড্রেন কর্তৃক সরকারি রাস্তার দু’পাশে এ মেহগনি গাছ লাগানো হয়। বর্তমানে একটি গাছের বাজার মূল্য ত্রিশ হাজার টাকা। স্থানীয় ইউপি সদস্যের যোগসাজশে সরকারি গাছটি কর্তন করা হয়েছে।

নাসিরনগর থানার এসআই রিপন চক্রবর্তী বলেন,স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়ন কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে স-মিলের মালিককে আটক করা হয়েছে। তবে প্রকৃত অপরাধীকে আটক করতে আমরা প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল কবির বলেন,জনস্বার্থে গাছটি কর্তন করা হয়েছে, তবে সরকারি নিয়ম মেনে গাছটি কাটতে গেলে অনেক সময় লাগত। নাসিরনগরে এখন প্রচুর ঝড়তুফান হচ্ছে। সে বিবেচনায় গাছটি জরুরি ভিত্তিতে কাটা দরকার ছিল।






Shares