Main Menu

নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বজ্রপাতে ৮ বছরের শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার তিনটি পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা নাসরিন।

নিহতরা হলেন- চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের জাকিয়া আক্তার (৮), গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের শামসুল হুদা (৭০) এবং ধান কাটতে আসা মৌসুমি শ্রমিক রাজ্জাক মিয়া (৪০)।

নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিকেল তিনটা থেকে নাসিরনগরে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এসময় টেকানগর এলাকায় জমিতে ধান কাটছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলে শ্রমিকরা পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলে আশ্রয় নিতে যান। আব্দুর রাজ্জাক(৩৫) নামে এক শ্রমিক স্কুলে পৌঁছাবার আগেই বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত জোয়াদ আলীর ছেলে।

একই সময় মাঠে ধানি জমি দেখতে গিয়ে গোকর্ণ পশ্চিমপাড়ার শামসুল হুদা(৬৫) ও বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। শামসুল হুদা গোকর্ণ গ্রামের মৃত আব্দুল সালামের ছেলে।

এছাড়া উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামে চাচার বাড়িতে বেড়াতে এসে জাকিয়া নামে ৭ বছরের এক শিশুর বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতের সময় সে বাইরে খেলছিল। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয় আরও কয়েকজন শিশু।

ভলাকুট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তারু মিয়া জানান, জাকিয়া আক্তার নামের শিশুটি চাচার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। বিকেলে চাচার সঙ্গে মাঠে ধান শুকানো হয় কীভাবে- তা দেখতে যায়। সেখানে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জাকিয়া। এ সময় আহত হয় আরও কয়েকজন শিশু।

গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, ‘শামসুল হুদা মাঠে গিয়েছিলেন ধানি জমি দেখতে। বিকেলে বজ্রপাতের পর তার মরদেহ মাঠে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।’

স্থানীয়রা জানায়, সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের রাজ্জাক মিয়া মৌসুমি কৃষিশ্রমিক। তিনি টেকানগর এলাকায় হারুন মিয়ার জমিতে ধান কাটতে এসেছিলেন। বজ্রপাতে মাঠেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে ভলাকুট ইউনিয়নের হামিদা বেগম (৫০) নামে এক নারী ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন। তার কণ্ঠনালী পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তারা।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম জানান, নিহতদের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শাহিনা নাসরিন জানান, বজ্রপাতে একদিনে তিনজনের মৃত্যুর খবর খুবই মর্মান্তিক। নিহতদের প্রত্যেকের দাফন কাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

 






Shares