Main Menu

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সরাইলে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে পপি

+100%-


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী  পপি আক্তার-(১২)। গত রবিবার বিকালে পপির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় বিয়ে পন্ড হয়ে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শাহজাদাপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার কন্যা ও শাহজাদাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী পপির সাথে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া গ্রামের বাসিন্দা নূর আলীর ছেলে আক্কাস মিয়ার-(১৬) বিয়ে দুই পরিবারের মতামতের ভিত্তিতেই ধার্য্য করা হয়। আক্কাস ঢাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী। বরকে যৌতুক হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।  গত রবিবার বিকেলে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এমরান হোসেন বিষয়টি জেনে দ্রুত বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নেন। রবিবার সকালে তিনি বাড়িতে পুলিশ পাঠান। সারাদিনই পুলিশ সেখানে অবস্থান করে। অবস্থা বেগতিক দেখে বিয়ে বন্ধ করে দেয় পপির পরিবার।
এ ব্যাপারে শাহজাদাপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা অর্পনা চক্রবর্তী বলেন, পপি ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় পাশ করেছে। বিদ্যালয়ের নথিপত্রে পপির জন্ম ২০০৩ সালের ১৫ জুন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, পপিকে বাল্য বিয়ের থেকে রক্ষা করতে অনেকে সহায়তা করেছে। বাল্য বিয়ে রোধে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।






Shares