Main Menu

সরাইলে স্কুল ছাত্রী হত্যা : বাদীর বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে ::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামের তানিয়া আক্তার (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রী হত্যার ঘটনায় তার পিতা আবদুল বারেক মিয়ার একের পর এক মামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর অভিযোগ মেয়ের হত্যাকে পুঁজি করে বারেক মিয়া মামলার পর মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানি করছেন।   
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায় উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামের আবদুল বারিকের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া আক্তারকে গত বছরের ১৯ নভেম্বর রাতে ধর্ষণ করে হত্যা করে দুর্বত্তরা। ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে পাঁচশত মিটার দুরের খালি মাঠ থেকে পুলিশ তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে। রাতেই তানিয়ার বাবা আব্দুল বারেক বাদী হয়ে একই গ্রামের জুম্মান মিয়া (১৮) সাদ্দাম হোসেন (১৮) উজ্জ্বল মিয়া (১৮) রুবেল মিয়া (১৭) ও ভুট্টো মিয়াকে (১৮) আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তদন্ত শেষে গত ১০ জুন গ্রামের ইমতিয়াজ হোসেনকে (১৮) অন্তর্ভুক্ত করে ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল ও রুবেল জামিনে রয়েছেন অন্যরা জেল হাজতে আটক রয়েছে। তানিয়া হত্যাকান্ডের পর তার বাবা বারেক মিয়া ইতোমধ্যে গ্রামের ১৬ জনের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা দয়ের করেছেন। এসব মামলায় গ্রামের নিরীহ মানুষকে আসামি করে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।  
গত শনিবার বিকালে সরেজমিনে গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কাটানিশার বাজারে বৈঠক করে শত শত গ্রামবাসী তাদের এসব অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.শাহ আরম বকাউল ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আলী আরশাদকে।
গ্রামবাসীদের মধ্যে বর্তমান ইউপি সদস্য মিজান মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, আহাম্মদ আলী, শিক্ষক আলী আকবরসহ অসংখ্য মানুষ জানান আমারও তানিয়া হত্যার বিচার চাই। কিন্তু বর্তমানে মনে হচ্ছে তানিয়ার বাবা এ  হত্যার বিচার না চেয়ে মিথ্যা অজুহাতে গ্রামের নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিচ্ছে। অনেকের কাছ থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সাও হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ অচিষ্ঠ হয়ে তার (বারেক) হাত থেকে বাচাঁর জন্য গত ৯ জুলাই বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকও গ্রামবাসীর জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। বারেক এখন নতুন করে প্রচারনা চালাচ্ছে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এভাবে আব্দুল বারেক গ্রামের অনেক মানুষকে হয়রানি করছে। আমরা এর প্রতিকার চায়।
বাজারের বৈঠকে এসময় আব্দুল বারেকও উপস্থিত ছিলেন। তিনি গ্রামবাসীকে জড়িয়ে আর কোন মামলা দিবেন না বলে কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার ও গ্রামে স্বাভাবিকভাবে বসভাস করতে চাই। নেই সাথে গ্রামবাসীর সহায়তা চাই।
সহকারি পুলিশ সুপার মো.শাহ আলম বকাউল এ প্রসঙ্গে বলেন আমারও চাই বারেকের মেয়ে তানিয়া হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার হোক। কিন্তু তানিয়ার বাবা একের পর এক মামলা দিয়ে বিষয়টাকে গোলাটে করে ফেলেছে। আমরা গ্রামবাসী ও আব্দুল বারেককে ধৈর্য্যধারন করার পরামর্শ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন প্রথমত তানিয়া হত্যার বিচার হতে হবে। পাশাপাশি তানিয়ার বাবা যা করছে তাও অতিরঞ্জিত হয়ে যাচ্ছে।






Shares