Main Menu

সরাইলে পাগলা কুকুর আতঙ্ক শিশু শিক্ষার্থী ও গবাদী পশু সহ আহত- ২২

+100%-

সরাইল প্রতিনিধিঃ সরাইলের সর্বত্র বিরাজ করছে পাগলা কুকুর আতঙ্ক। মানুষের পাশাপাশি কুকুরের আক্রমন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না গবাদী পশু। গত এক সপ্তাহে উপজেলা সদরে দুই শিশু শিক্ষার্থীসহ ১২ ব্যক্তি ও ১০টি গবাদী পশুকে কামড়িয়ে গুরুতর আহত করেছে পাগলা কুকুর। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়,  সম্প্রতি  উপজেলা সদরে মালিক বিহীন কুকুরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে দল বেঁধে ঘুরে কুকুর। মানুষ ও পশু দেখা মাত্র ঘেউ ঘেউ করে চতুর্দিকে আক্রমন করে বসে। না কামড়িয়ে তাদের নিস্তার নেই। দিনের চেয়ে রাতে এদের বিচরন বেশী। কুকুরের আক্রমনের শিকার হচ্ছে অধিকাংশ শিশু শিক্ষার্থীরা। তাই নিজের সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে সর্বক্ষন চিন্তামগ্ন থাকেন অভিভাবকরা। দিন দিন উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ছে এলাকার গবাদী পশুর মালিকদের। গতকাল সকালে উপজেলা সদরের বড় দেওয়ান পাড়া কিশালয় বিদ্যানিকেতনের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাজুল ইসলামের ছেলে আরাফাত রহমান (১০) কে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে কামড়িয়েছে পাগলা কুকুর। অল্পসময়েরে ব্যবধানে উচালিয় পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বিদ্যুত কর্মচারী মোঃ শাহাদাৎ মিয়ার ছেলে শাব্বির মিয়া (০৬) কে দেওয়ান দিঘীর পাড়ে কামড়িয়েছে আরেকটি কুকুর। বড় দেওয়ান পাড়ার বেলাল মিয়ার একটি গাভী ও খাটিহাতা গ্রামের কাদির মিয়ার একটি খাসিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড়ে কামড়িয়েছে দুটি কুকুর। স্থানীয় লোকজন জানান, এক সময় কিছু দিন পরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে মালিক বিহীন পাগলা কুকুর নিধন করা হত। অনেক দিন ধরে কুকুর নিধন হচ্ছে না। তাই পাগলা কুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহে পাগলা কুকুরে কামড়িয়েছে এমন ১২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। সরাইল উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুজিবুবর রহমান বলেন, গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কুকুরে কামড়ানো  ১০ টি গবাদী পশুকে চিকিৎসা দিয়েছি। চিকিৎসা নিতে আসেনি এমন অনেক পশুর খবরও পেয়েছি। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, পশু সম্পদ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।






Shares