Main Menu

সরাইলে ৩০০ লিটার চুলাইমদ উদ্ধার, সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ২

+100%-

প্রতিনিধি : সরাইলে তিন’শ লিটার চুলাইমদ ও মদ তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মদ উৎপাদন ও বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট মহিলা সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চামাড় বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ কাজ করেছে সরাইল থানা পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, চামাড় বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত চুলাইমদ তৈরী হচ্ছে। এ মদ তারা জেলা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় তেলের কন্ট্রিনদিয়ে পাচার করে বিক্রি করছে। এ ছাড়া সড়ক ও নৌ পথে গোপনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। রাত দশটার পর এক শ্রেণীর লোক লাইন ধরে চামাড় বাড়িতে প্রবেশ করে। মদ পান করে গভীর রাতে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে করতে চলে যায়। অনেক সময় এলাকায় অপকর্ম করে বসে মদ্যপরা। ফলে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও ভদ্র লোকরা সব সময়ই আতঙ্ক গ্রস্থ থাকেন। মদ উৎপাদনকারীদের পেছনে রয়েছে সমাজের শক্তিশালী মুখোশধারী কিছু ভদ্রলোক। তাদের শক্তির বলেই তারা বারবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আসছে।

সরাইল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এস আই ফরহাদ আব্বাস, এস আই ইশতিয়াক ও এস আই আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চামাড় বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযান কালে তারা বেশ কয়েকটি বসত ঘরের মাটির নীচ থেকে মদ ও মদ তৈরীর কেমিক্যাল ভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি কন্টিনার উদ্ধার করেন। উদ্ধার করা হয়েছে মদ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত দশটি বড় পাতিল। এ অপকর্মের সাথে সরাসরি জড়িত সাজন রবি দাস (৪৪) ও তার স্ত্রী শেফালী রবি দাস (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মদ উৎপাদন ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত ওই বাড়ির অনেক নারী পুরুষ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, সমাজের এক শ্রেণীর লোক তাদেরকে এ কাজ করার জন্য চড়া সুদে টাকা দেয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। পুলিশ তাদেরকে অনেকবার গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে জেলখানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে এ সমাজের চিহ্নিত কিছু টাউট প্রকৃতির লোক বরাবরই সহায়তা করেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, এরা মদ তৈরিকরে র্দীঘদিন যাবত বিক্রয় করছে । সমাজকে ধ্বংস করছে। এ কাজের জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।






Shares