Main Menu

দলিল লিখকের হাতে সাব-রেজিষ্টার লাঞ্ছিত

+100%-

প্রতিবেদক : বিএস খতিয়ান ছাড়া দলিল রেজিষ্ট্রি না করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সাব-রেজিষ্টার শেখ মছিউল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন বাবুল মিয়া নামে এক দলিল লিখক (সনদ নং-৪৮)। সোমবার দুপুরে উপজেলা সাব-রেজিষ্টার এর কার্যালয়ে ঘটে এই ঘটনা। এসময় সাব-রেজিষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী প্রতিবাদ জানালে তাদের ওপরও চড়াও হন ওই দলিল লিখক।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ও কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, বিএস খতিয়ান ছাড়াই দলিল লিখক বাবুল মিয়া রোববার একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করাতে আসেন। সাব-রেজিষ্টার দলিলটি রেজিষ্ট্রি না করে ফিরিয়ে দেন। গতকাল সোমবার বিএস খতিয়ান ছাড়াই ফের ওই দলিলটি রেজিষ্ট্রি করাতে কার্যালয়ে আসেন তিনি। সাব-রেজিষ্ট্রার জানান কাগজপত্র ত্রুটি রেখে দলিল রেজিষ্ট্রি সম্ভব নয়। এ কথায় উত্তেজিত হয়ে দলিল লিখক বাবুল সাব-রেজিষ্ট্রারকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ লাঞ্ছিত করেন। এসময় উপস্থিত কর্মচারীরা এর প্রতিবাদ করলে বাবুল তাদের ওপর চড়াও হন। কার্যালয়ের সহকারি মো. রেনু মিয়া বলেন, ‘দলিল লিখক বাবুল মিয়া স্যারের (সাব-রেজিষ্ট্রার) সাথে যেই দুর্ব্যবহার করেছে তা নজিরবিহীন।’ একই কার্যালয়ের টি.সি মোহরার আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করায় বাবুল মিয়া আমাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক দলিল লিখক জানান, ‘বাবুল মিয়ার এসব আচরণ ও জালিয়াতির কারণে তাকে কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। তার বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির বহু অভিযোগ রয়েছে। জেলা সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুল জলিলের সাথে বাবুল মিয়ার দহরমমহরম আছে। তাছাড়া সকল নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তিনিই বাবুলকে দলিল লিখকের সনদ পাইয়ে দিয়েছেন। বাবুলের সকল অপকর্মের মদদ দিয়ে যাচ্ছেন জেলা সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুল জলিল।’ সরাইল উপজেলা দলিল লিখক সমিতির সভাপতি সৈয়দ আলী আবদাল বলেন, সাব-রেজিষ্ট্রারের সাথে বাবুল যে জঘন্য আচরণ করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’ অভিযুক্ত দলিল লিখক মো. বাবুল মিয়া বলেন, এরকম কাগজপত্র ত্রুটি রেখে এখানে অহরহ দলিল রেজিষ্ট্রি হয়েছে। আমার দলিল কেন রেজিষ্ট্রি হবে না। এটিই সাব-রেজিষ্ট্রারের কাছে জানতে চেয়েছি। আমি তাকে লাঞ্ছিত করিনি।’
সরাইল উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার শেখ মো. মছিউল ইসলাম বলেন, ‘দলিল লিখক বাবুল বিএস খতিয়ান ছাড়াই দলিল রেজিষ্ট্রি করাতে আসেন। আমি কাগজপত্র ঠিকঠাক করে আনার পরামর্শ দিই। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আমাকে লাঞ্ছিতসহ কর্মচারীদের মারধর করার চেষ্টা করেন। কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এ ব্যাপারে আমি অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিব।’ এব্যাপারে জানতে জেলা সাব-রেজিষ্টার আব্দুল জলিলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।






Shares