Main Menu

সরাইলে কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের কান্ড!

+100%-
সরাইল প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল- আশুগঞ্জ ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টীর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এড  জিয়াউল হক মৃধার স্বাক্ষর জাল করেছেন কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য ও কতিপয় শিক্ষক। সেকায়েফ প্রকল্পের কাশ রুটিং- এ স্বাক্ষরটি জাল করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের মুঠো ফোনটি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সমগ্র সরাইলে সমালোচনার ঝড় বইছে। উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দফতর সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের চেয়ারম্যান এম পি জিয়াউল হক মৃধা। গত ১০ এপ্রিল ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। অদ্যবধি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন পায়নি নতুন কমিটি। নিয়মানুযায়ী অনুমোদনের পূর্ব পর্যন্ত পুরাতন কমিটিই দায়িত্ব পালন করবে। গতকাল সকালে সেকায়েফ প্রকল্পের কাশ রুটিং মাধ্যমিক অফিসে জমা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান। সভাপতির স্থলে সংসদ সদস্যের সীল ব্যবহার করেছেন। কিন্তু উনার স্বাক্ষর জাল করে ফেলেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সীল মৃধার কিন্তু অস্পষ্ট স্বাক্ষর অন্যজনের। এছাড়া খোদ সংসদ সদস্য নিজেই জানেন না এ স্বাক্ষর কার। জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি ধরা পড়ার সাথে সাথে প্রধান শিক্ষকের মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে ও সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া নতুন কমিটির কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। এখনকার সকল কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করবেন সভাপতি হিসেবে এম পি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ মারুফ খান বলেন, বিধি মোতাবেক বর্তমান কমিটির স্বাক্ষরেই সবকিছু হবে। এ স্বাক্ষরটি এমপি মহোদয়ের নয়। এটা জাল করা হয়েছে। দাতা সদস্য মোঃ আতাহার হোসেন বকুল বলেন, ধারনা করা হচ্ছে কমিটির ২/১ জন সদস্য ও কতিপয় শিক্ষক মিলে এমপির স্বাক্ষর জাল করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় সাধারন ডায়েরী করব। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোঃ ছাইদুর রহমান বলেন, এম পি মহোদয়ের স্বাক্ষরটি জাল করেছে নিশ্চিত হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন করেছি। মোবাইল বন্ধ পেয়েছি। এমপি এখনো সভাপতি। এটা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী কাজ করেছে। প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমানের মুঠো ফোনে (০১৯২৪-৩১২৫৫৬) একাধিকবার চেষ্টা করে ও কথা বলা সম্ভব হয়নি। দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষিকা হেসনা বানু বলেন, প্রধান শিক্ষক ছুটিতে আছেন। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী শিক্ষক ও কমিটির লোক জনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিব। এ বিষয়ে আমি আজই থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করব।






Shares