Main Menu

সরাইলে ৯০ বছরের বৃদ্ধকে গ্রেপ্তারের ১৮ ঘন্টাপর আদালতে প্রেরণ!

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইলে মোঃ আমীর আলী (৯০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তারের ১৮ ঘন্টা পর আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। আমীর আলীর বাড়ি চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে। গত বুধবার রাতে কালিকচ্ছ এলাকায় ওই বৃদ্ধের মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরিবারের অভিযোগ কোন কাগজপত্র ছাড়াই কারো প্ররোচনায় বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে ২১১ ধারায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। সারারাত আসামীর কাষ্ট্ররিতে থাকলে সকালে তাকে নীচতলায় চেয়ারে বসিয়ে রেখেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত বৃদ্ধের স্বজনরা জানায়, রসুলপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে আমীর আলী জীবনে কখনো কোন মামলার আসামী বা বাদী হয়েছে এমনটি তাদের জানা নেই তার পরিবারের। গত ২০ ডিসেম্বর বুধবার কালিকচ্ছ মধ্যপাড়ায় তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এশার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়া মাত্র তাকে গ্রেপ্তার করেন এস আই শহীদ। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান বৃদ্ধ আমীর আলী। তাকে নিয়ে থানার কাষ্ট্ররিতে রাখেন পুলিশ। সারারাত থানার কাষ্ট্ররিতেই সময় পার করেন বৃদ্ধ।

বৃহস্পতিবার সকালে বৃদ্ধের স্বজনরা গ্রেপ্তারের কারন জানতে থানায় যান। আমীরের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেখাতে পারেননি পুলিশ। তার অবস্থার অবনতি দেখে সকাল ১১টার দিকে তড়িগড়ি করে আমীর আলীকে কাষ্ট্ররি থেকে নীচ তলায় নামিয়ে আনেন থানা কর্তৃপক্ষ।

আমীরের মেয়ের জামাতা বরকত আলী বলেন, আমার শ্বশুড়কে অযথা ওই গ্রামের দিলু মিয়ার ছেলে জাহের মিয়া গ্রেপ্তার করিয়েছে। উনার বিরুদ্ধে কোন ধরনের মামলা বা অভিযোগ নেই। পুলিশ ২০১১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তাদের সকল নথিপত্র তল্লাশী করে উনার নামে কিছুই পাননি। তবে পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালে আমীর আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় আদালতে প্রসিকিউশন দেওয়া হয়। এরপর আমীর আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী হয়। তবে এত বিলম্ব কেন? পুলিশ জানায় নথিপত্র তল্লাশী দিয়ে এত আগের কাগজপত্র বের করতে সময় লেগেছে।

এ বিষয়ে সহকারি পরিদর্শক (এস আই) মোঃ শহিদ মুঠোফোনে বলেন, ভাই আমি প্যারেডে আছি। ঘন্টা খানেক পরে কথা বলি।






Shares