Main Menu

সরাইলে বিদ্যুৎ বিহীন দুইরাত অতিষ্ঠ জনজীবন

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল ॥  চলছে জৈষ্ঠ্য মাসের প্রচন্ড তাপদাহ। এরই মধ্যে রোজা ও তারাবির নামাজ। তারপর আবার শেষ রাতে ওঠে সেহরি খাওয়া। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত অবস্থায় একটু আরামের জন্য মুসলমান নারী পুরুষ যায় বিছানায়। আর তখনই সরাইলে চলে যায় বিদ্যুৎ। কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতের কথা বলে পার করে দিন রাত। গরম যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে বাচ্চাদের চিৎকারে মা বাবার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে। অনেকে রান্না করতে পারেন না। সকলেই সারা রাত থাকেন নির্ঘুম। রাত আড়াইটায় আসে বিদ্যুৎ। স্বস্থ্যির নিঃশ্বাস ফেলে কোন রকমে সেহরি খায় লোকজন। অনেককে না খেয়ে রাখতে হচ্ছে রোজা। অতিষ্ঠ জনজীবন। গত মঙ্গলবার ও সোমবার রাত এভাবেই কাটিয়েছেন সরাইলবাসী।

সূত্র জানায়, গত ২৪ মে সরাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন মো. মাইনুদ্দিন জুয়েল। এর আগে ৩ বছরেরও অধিক সময় এপদে ছিলেন সুব্রত রায়। গত ৩-৪ দিন ধরে সরাইলে বিদ্যুৎ সরবরাহে চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। একদিকে প্রচন্ড দাপদাহে মানুষের মধ্যে একটা অস্বস্থিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এরপর চলছে রোজা। যার সঙ্গে যুক্ত ইফতার সেহরি ও তারাবির নামাজ। সরকারের তরফ থেকে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে রমজানে কোন লোডশেডিং নেই। কিন্তু সরাইল পিডিবি চলছে এর উল্টো।

গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টা। লোকজন বিছানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুরু হয়ে যায় হালকা বৃষ্টি। চলে যায় বিদ্যুৎ। গরমে লোকজন ছটফট করছে। শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। বৃষ্টির পর শুষ্ক আবহাওয়া। বিদ্যুৎ আসার কোন খবর নেই। কারণ জানতে চাইলে এক্সেন মুঠোফোনে বলেন, ‘ভাই থান্ডারিং থান্ডারিং। বৃষ্টি থামলেই বিদ্যুৎ পেয়ে যাবেন।’ রাত ১২টার পর গরম যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে শিশুরা। দিশেহারা মা বাবা। শিশুদের কষ্ট দেখে তাদের চোখ দিয়ে ঝরতে থাকে অশ্রু। রাত ১টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় পিডিবি’র খামখেয়ালির বিরুদ্ধে লেখনির ঝড় ওঠে। সমগ্র রাতই গোটা সরাইল ছিল অন্ধকারে। অনেকে সেহরির রান্না পর্যন্ত করতে পারেননি। সরাইলবাসীকে নির্ঘুম কাটাতে হয় রাত।

ঘড়ির কাটায় যখন আড়াইটা মসজিদের মাইকে সেহরি খাওয়ার আহবান করছেন। ঠিক তখনই আসে বিদ্যুৎ। একই অবস্থা ছিল গত সোমবারেও। তারাবির নামাজ শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে চলে যায় বিদ্যুৎ। আসে ৪ রাকাত পড়ার পর। ততক্ষণে গরম যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে একাধিক মুসল্লি বলেন, সরকারের ইসলামের প্রতি দরদ নেই। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বৃষ্টির ফোটা পড়ার সাথেই বিদ্যুৎ চলে যায়। সারারাত আর আসেনি। সেইদিনও সরাইলবাসীর রাত কাটে নির্ঘুম। ঠিক আড়াইটার আসে বিদ্যুৎ। ফেসবুকে অনেকেই মন্তব্য লিখেছেন, এটা সরকার বিরোধী কোন ষড়যন্ত্র। নইলে আগে ঝড় বৃষ্টির পরও বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। এখন এমনটি হচ্ছে কেন? একাধিক গ্রাহক আক্ষেপের স্বরে বলেন, আমাদের দূর্ভাগ্য। কোন আবাসিক প্রকৌশলী সরাইলে অবস্থান করেননি। আর বর্তমানেও নির্বাহী প্রকৌশলীরাও থাকেন জেলা সদরে।






Shares