Main Menu

সরাইলে পর্নোগ্রাফির অভিযোগে মামলা:: ২ যুবক গ্রেপ্তার

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রবাসীর স্ত্রী’র ছবি পর্নোগ্রাফি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গৃহবধূর পিতা বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় রাতে পুলিশ মোঃ রাসেল মিয়া-(২৭) ও বাধন মিয়া- (২০) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলা ও গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের দেড় মাস পরই স্ত্রীকে রেখে ওই গৃহবধূর স্বামী মালয়েশিয়ায় চলে যায়।
সরাইল উপজেলার সদরের নিজসরাইল গ্রামের রুমেলদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন গৃহবধূ। প্রবাসী স্বামীর সাথে প্রায়ই মোবাইল ফোনে অডিও ভিডিও কথা বলতেন। স্বামীর ইচ্ছায় বিভিন্ন ধরণের ছবিও পাঠাতেন। তার বিকাশ নম্বরে স্বামী টাকা পাঠাতেন। নিজেই টাকা উত্তোলন করতেন।
গত কয়েক মাস আগে গৃহবধূ অসুস্থ হওয়ায় স্বামীর অনুমতিক্রমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রুমেল মিয়াকে দিয়ে বিকাশের টাকা উত্তোলন করেন। এ ভাবে বেশ কয়েকবার টাকা উত্তোলন করে মোবাইল ফোন সেটটি ফেরত দেয় রুমেল। সুযোগে বুঝে রুমেল মোবাইল সেট থেকে গৃহবধূর ব্যক্তিগত ছবি গুলো রেখে দেয়।
আনুমানিক ৫/৬ মাস আগে রাসেল, বাধন, রুমেল ও আশিকসহ ৪/৫জন গৃহবধূকে ফোন করে রুমেলের সাথে ওই গৃহবধূর ছবি থাকার বিষয়টি জানায়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। স্বামী স্ত্রীর ইজ্জত রক্ষার্থে গৃহবধূর স্বামী হুমকিদাতাদের সাথে কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দেয়। এর পরেও ওই যুবকরা গৃহবধূকে ফোন করে কথাবার্তা বলেন আরো টাকা না দিলে ওই ছবি গুলো ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আশিক মিয়া গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়।
সম্প্রতি তারা গৃহবধূর মোবাইল ফোন থেকে নেয়া ব্যক্তিগত ছবিগুলো এডিট করে রুমেলের ছবির সাথে যুক্ত করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।
এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে জেলা শহরে বাবার বাড়িতে চলে যায়। গত মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ নিজসরাইল গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে আসলে রুমেল মিয়া তাকে গালাগালি করে ও আরো টাকা না দিলে ছবি গুলো দ্রুত ভাইরাল করার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম নাজমুল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীরা জিম্মি করে ওই মহিলার পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।






Shares