Main Menu

সরাইলে একইসময়ে প্রায় ২০টি স্থানে অগ্নিসংযোগ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নে মনিরবাগ ও নোয়াগাঁও মৈশান বাড়ি এলাকায় গতরাতে আনুমানিক ২টা থেকে ৩টার মধ্যে একইসাথে প্রায় ২০টি খড়ের স্তুপে ও একটি বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে আনুমানিক ২ টা থেকে ৩ টার দিকে কে বা কারা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তারা এই সময় ঘুমিয়ে ছিল কাউকে আগুন দিতে দেখেনি। হঠাৎ পুড়া গন্ধ নাকে আসলে ঘর থেকে বেড়িয়ে দেখে খড়ের স্তুপে আগুন জলছে। সবাই যে যার সাধ্যমতো পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। অনেক গুলো খড়ের স্তুপ একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তারা চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়। কালিকচ্ছ মনিরবাগ এলাকার রইছ মিয়ার একটি ঘরেও আগুন দেয়া হয়। আগুন কোন ভাবেই নিভাতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দেয়। পরে সকালে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা এই নিয়ে আতংকে রয়েছেন। তারা বলছেন আজ খড়ের স্তুপে আগুন দিয়েছে কাল ঘরে আগুন দিতে পারে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালেও অনেক খড়ের স্তুপে আগুন জলছিল। সেই সাথে তাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছিল কেন কি উদ্দেশ্যে একই সময়ে এতো গুলো স্থানে আগুন দেয়া হয়। তারা অনেকেই বলছিলেন ঠিক সময় যদি আগুন নিভাতে না পারতো তাহলে বসতঘর ও পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। এখন তাদের গরুর খাবারের জন্য অনেক কষ্ট করতে হবে। খড় অন্যত্র থেকে কিনে এনে গরুকে দিতে হবে। এছাড়াও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা এলাকার জাকির হোসেনের খড়ের স্তুপেও আগুন দেয়ার খবর পাওয়া যায়।
কালিকচ্ছ মনির বাগ দক্ষিণ পাড়া এলাকার আবুল কাশেম (৭০) বলেন, আনুমানিক ৩ টার দিকে কে বা কারা যেন খড়ের স্তুপে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা কাউকে দেখতে পাইনি, পরে সবাই মিলে আগুন নিভাতে সক্ষম হই।
মনির বাগ পূর্ব পাড়া এলাকার হালিম মিয়া (৫০) বলেন, কি কারণে বা কি উদ্দেশ্যে এতো গুলো খড়ের স্তুপে একই সময়ে আগুন দেয় বুঝতে পারলাম না।
নোয়াগাঁও মৈশান বাড়ির আবদুল আউয়াল মৈশান (৬৫) বলেন, কারা এই কাজ করলো বুঝতে পারলাম না। ঘরে আগুন দিলে তো অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যেতো।
কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ হোসেন বলেন, আমি এখন খবর পেলাম। সরেজমিনে গিয়ে দেখে আসবো আর যারা গরুর খাবার খড় পুড়িয়েছে তারা মানুষ না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল বলেন, আমি বিষয়টি এইমাত্র জানতে পারলাম। আমি ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে বিষয়টি তদন্ত করে নাশকতা কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares