Main Menu

সরাইলে উদ্বোধনের আগেই ক্লিনিকের ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি, নষ্ট হচ্ছে ঔষধসহ আসবাবপত্র

+100%-


মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ঝকঝকে মনকাড়া ভবনটির উদ্বোধনের আগেই ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে । বৃষ্টি এলে বৃষ্টির পানিতে ভিঁজে যায় সবকটি কক্ষ। নষ্ট হচ্ছে ঔষধসহ আসবাবপত্র। ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন এলাকাবাসি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইছারা গ্রামে ৩ নংওর্য়াডে র্পূণনির্মান করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ক্লিনিকের নতুন ভবন নির্মানে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন ভবনের ইটের খোয়া ও রাবিশ। ব্যবহার করা হচ্ছে বিটি বালু। সিমেন্টও ব্যবহার করা হচ্ছে খুবই নিন্মমানের । ব্যবহারের জন্য বসানো হয়েছে পুরানো পাম্প। দেয়ালে বিভিন্ন চাইটে ফাটল দেখা যায়। সিরিতে এস এস নড়েপরছে । এ সমস্যার প্রতিকার চেয়ে ওই ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মেহেরুন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় উপজেলার বরইছারা গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করা হয়। কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার প্রকল্পের আওতায় ওই ক্লিনিকের একতলা ভবন নির্মানের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ২৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
দরপত্র আহবানের মাধ্যমে হুসাইন বিল্ডার নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদার ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভবন নির্মান কাজ শেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করেন। অথচ হস্তান্তরের আগ থেকেই ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ায় নতুন কক্ষ গুলো যেন পুরোনো কক্ষে রূপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসির কাছ থেকে জানাযায়, এ কাজে রড ও ঢালাইয়ে সিমেন্টের পরিমাণ অনেক কম দেওয়া হয়েছে। ছাদ ঢালাইয়ে ইটের গুঁড়া মিশ্রিত কংক্রিট ও নিম্মমানের বালু ব্যবহার করায় ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। সরকারি যেকোনো ভবনের ঢালাইকাজে বরাদ্দ দাতা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও এই ক্লিনিকের ছাদ ঢালাইয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্ততরের কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।
ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মেহেরুন বলেন, কন্টাক্টার যখন আমাকে চাবি বুজিয়ে দেয়। তখনই ছাদ দিয়ে পানি চুইয়ে পরছিল। তখন আমি ওনাকে বল্লাম ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। ওনি আমাকে বলে, এটা আপনার দেখার বিষয় না। এটা দেখবে ইঞ্জিনিয়ার। কাজ এত নিম্নমানের হয়েছে যা প্রকাশ করার মত নয়। বাথরুমের পাইপ এ কোন সাপোর্ট নেই। টাইলস খুলে পড়তেছে। বৃষ্টি হলে সবকটি রুমে পানি পড়ে ঔষধসহ ভিঁজে যাচ্ছে আসবাপত্র। সেঁচের জন্য পুরাতন মোটর বসিয়েছে। তখন আমি ভবন নির্মাণে ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর ২ জুন ২০২১তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ করি।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হুসাইন বিল্ডারের সত্ত্বাধিকারী হুসাইন মিয়া মুঠোফোনে বলেন, আমার উপর আনিত সব অভিযোগ সঠিক নয়। ছোটখাটো সমস্যা থাকতেই পারে।
জেলা স্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার শীল বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি কন্টেক্টারকে বলছি। কন্টাক্টার বলছে নতুন করে ঢালাই করে দেবে। আর এটা খুব বেকায়দা জায়গা, আমি ঠিকমত সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনাই। সেজন্য কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কারণ আমরা দুজন লোক সমস্ত জেলার দায়িত্ব। আমাদের কোন উপজেলায় অফিস নাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। বাথরুমে সমস্যা আছে। অন্যান্য জায়গাও কিছু সমস্যা আছে। এব্যাপারে আমি জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। উনারা বলছে চলাচলের উপযোগী করে দেবে।






Shares