Main Menu

সরাইলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা-

‘যুবদলের অবৈধ কমিটিকে সদরে ওঠতে দেয়া হবে না’

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ফেসবুকে প্রচারিত সরাইল উপজেলা যুবদলের অবৈধ আংশিক কমিটি বাতিলের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে যুবদলের একাংশের নেতারা।
আজ সনিবার দুপুরে সরাইল প্রেসক্লাবে নিজেকে যুবদলের বৈধ সভাপতি দাবী করে নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না তার লিখিত বক্তব্যে এই কথা গুলো বলেন। মুন্না বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ৩ সদস্যের সরাইল উপজেলা যুবদলের আংশিক কমিটি গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ অনেক আগেই ইউনিয়ন কমিটির মতামতের ভিত্তিতে জেলা যুবদলের সভাপতি সম্পাদক নাজমুল আলম খন্দকার মুন্নাকে আহবায়ক ও সৈয়দ ইসমাইল হোসেন উজ্জ্বলকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি অনুমোদনের জন্য যুবদলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিয়েছেন। সাথে রয়েছে ৫ বারের এমপি সাবেক মন্ত্রী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বর্তমান এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সুপারিশ পত্রও।

৩ সদস্যের কমিটির আহবায়ক সুফিয়ান রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন। জেলা সদরে থেকে চাকরি করেন। সদস্য সচিব নুর আলম অশিক্ষিত ও ২০১৪ সালে উপজেলা তরূন লীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরাও আ’লীগ করেন। আর সদস্য নুরূল আমিন এক সময় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্বাশিপ এর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন। আওয়ামী ঘরানার লোক দিয়ে যুবদলের কমিটি বিএনপি’র বিরূদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের বহি:প্রকাশ।
উপজেলা ও জেলার কতিপয় দূর্নীতিবাজ নেতার শেল্টারে ঘোষিত ভূয়া অবৈধ কমিটিকে শুধু প্রত্যাখ্যানই নয়, এদের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলার হুমকি দিয়েছেন। একই সাথে ওই কমিটিকে সদরে না ওঠতে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা সৈয়দ ইসমাইল হোসেন উজ্জ্বল, রানা আহমেদ জিল্লু, আহাদ মিয়া, শিবলী সাদিক, শামীম মিয়া, আনোয়ার মিয়া। ছাত্রদলের রিগান ও স্বপন। পরে মুন্নার নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাকার বিনিময়ে এমন সব কমিটি বাগিয়ে আনতে সহায়তা করার অভিযোগে আরাফাত সানির বড় ভাই কবির আহমেদ ভূঁইয়ার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন তারা।

সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্যেশ্য প্রণোদিত। আমাদের কমিটি বৈধ। সরাইলের সাথে আরো দুটি কমিটি সেন্ট্রাল যুবদলের ওয়েসাইট থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এখনো আছে। মুন্না ৮ বছরে মাত্র ১টি ইউনিয়ন কমিটি করেছেন। সেন্ট্রাল তার কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট নয়। ফেসবুকে মুন্না আপত্তির কথা লিখে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। আমরা কেন্দ্রের কাছে মুন্নার বহিস্কার দাবী করেছি। আমরা সদরেই দলীয় কর্মকান্ড ও আন্দোলন সংগ্রাম করব।






Shares