Main Menu

উপনির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন উন্মুক্ত

+100%-

বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি উন্মুক্ত রেখে ঠাকুরগাঁও-৩ ও বগুড়া-৪ আসন দুটি ১৪ দলের দুই শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদকে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা যোগ দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের বিএনপি দলীয় এমপি উকিল আবুস সাত্তার ভূঁইয়া তার দলের অন্য পাঁচ এমপির সঙ্গে পদত্যাগ করেন। তবে উকিল আবদুস সাত্তার এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন এবং এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি রোববার বিকেলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী দেয়নি। জোটের কোনো শরিককেও এই আসন ছাড়েনি দলটি। এই আসন থেকে ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির আবদুস সাত্তার ভুইয়া। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মঈনউদ্দিন মঈন। ওই নির্বাচনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। দুবারই সংসদ সদস্য হয়েছিলেন জিয়াউল হক মৃধা।

এদিকে আবদুস সাত্তার ভুইয়া গত বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনিই আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে পারেন বলে এলাকায় আলোচনা চলছিল। উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে রোববার তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, আবদুস সাত্তারের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ভোটে আনতে পারলে বিএনপির সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা।

বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য গত ১০ ডিসেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে তাঁরা জাতীয় সংসদে গিয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর মধ্যে একটি সংরক্ষিত নারী আসন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ছয়টি আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র: সমকাল, প্রথম আলো






Shares