Main Menu

সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে যুবলীগ নেতার উকিল নোটিশ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী। শেলভী সদর উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের কাজী হাফিজুল ইসলাম ওরফে জজ মিয়ার ছেলে। কাগজে কলমে বিদ্যুতের গ্রাহক নয় তিনি। ট্রেড লাইসেন্সেও তার নাম নেই। কিছু জানেন না তিনি। অথচ শেলভী এখন স্থানীয় পিডিবি’র ১ লাখ ৪১ হাজার টাকার বিল খেলাপী। তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত মামলা দিয়েছেন। গ্রাহক না হয়ে শেলভী এখন আসামী। সমন হাতে পেয়ে হতবিহবল হয়ে পড়েন যুবলীগ নেতা। পরে উদ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে গায়েবী বিল চাপিয়ে মানহানির অভিযোগ এনে শেলভীর পক্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. মাঈন উদ্দিন ও উপসহকারি প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিনের কাছে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুজ্জামান লস্কর (তপু)।
উকিল নোটিশ ও ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, সরাইল সদর ইউনিয়নের দেওয়ান হাবলিপাড়া গ্রামের মো. আ: কাইয়ুম মিয়া। প্রাত: বাজার এলাকার মধুবন বেকারীর মালিক (পরিচালক) হলেন মো. রফিকুল মিয়া। কাইয়ুম খা সরাইল পিডিবি’র একজন গ্রাহক। তার হিসাব নং-এ-১৭৫। মিটার নং-১১১৮৬৬। বকেয়া বিল ১ লাখ ৪১ হাজার ১৭৮ টাকা। আর সৈয়দটুলা গ্রামের বাসিন্ধা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বকেয়া বিলের তালিকাসহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলামকে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে প্রাত: বাজার এলাকায় যান পিডিবি কর্তৃপক্ষ। সেখানে গিয়ে মধুবন বেকারির খুজ খবর নেন। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী কিছু লোকের সাথে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর একটি কাগজ ধরিয়ে দেন মধুবন বেকারির লোকজনকে। তারা দেখতে পায় এটি মামলার সমন। সমনে বিদ্যুৎ আইনের ৩২/৩৩ ধারার অভিযোগ আনা হয় শেলভীর বিরুদ্ধে। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল খেলাপীর অভিযোগে মামলার (সিআর-৩৫০/১৮) জবাব দিতে ২ অক্টোবর মঙ্গলবার উকিলের মাধ্যমে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশও রয়েছে সেখানে। বিদ্যুতের গ্রাহক না হয়েও গায়েবী খেলাপী মামলার আসামী হওয়ার কাগজ হাতে পেয়ে হতবিহবল হয়ে পড়েন যুবলীগ নেতা শেলভী। কারন তিনি মধুবনের মালিক নন। তার নামে কোন মিটারও নেই। কেন গায়েবী ঘটনায় তাকে জড়িত করা হয়েছে তাও অজানা। তাই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করত: শেলভীকে অবহিত করতে গত মঙ্গলবার সরাইল পিডিবি কর্তৃপক্ষের কাছে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

যুবলীগ নেতা শেলভী বলেন, স্থানীয় পিডিবি’র দুই প্রকৌশলী আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত ও প্ররোচিত হয়ে ভাবমূর্তি হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এহেন বানোয়াট মোকদ্দমা করেছেন। এতে আমার মানহানি ঘটেছে। আমি দায়িত্বশীল লোকদের এমন কান্ডজ্ঞানহীন কাজের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাকে গায়েবী অভিযোগ থেকে দ্রুত পরিত্রাণের ব্যবস্থা কামনা করছি।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উম্মে ইসরাত এ বিষয়ে বলেন, বিলের কাগজে অফিস রেজিষ্ট্রারে তালিকাভুক্ত গ্রাহকের নামেই কেবল মামলা হতে পারে। গ্রাহক নয়। কাগজেপত্রে খেলাপীও নয়। অন্য লোকজন নাম বললেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না।
সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. মাঈন উদ্দিন শেলভীর নামে মামলা হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সেখানকার উপস্থিত লোকজন শেলভীর নাম বলেছেন। তাই উনার নামে মামলা হয়েছে। উকিল নোটিশ এখনো পায়নি। পেলে আইনি পক্রিয়ায়াই জবাব দিব।






Shares