সরাইলে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল :: সরাইলের শাহবাজপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নজরুল ইসলামের উপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। বাদী হয়েছেন লাঞ্ছিত শিক্ষকের আপন চাচাত ভাই মো. হুমায়ুন কবির (৪০)। মামলায় বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি বিল্লাল মিয়া ও তার তিন ছেলেসহ পাঁচ জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
মামলা ও শিক্ষকের পরিবারের লোকজন সূত্রে জানা যায়, শুরু থেকেই সভাপতির নির্দেশ মত নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের কার্যাদি পরিচালিত হয়ে আসছে। তার হুকুম অমান্য করার সাহস কারো নেই। এমনকি প্রধান শিক্ষকেরও নেই। এ বছর বিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক উদ্যেশ্যে শিক্ষার্থীদের কোচিং চালু করেন সভাপতি। শিক্ষক নজরুল ইসলাম শুরু থেকেই কোচিং-এর বিরোধীতা করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়েই গত মঙ্গলবার সকালে সভাপতি তার তিন ছেলেসহ কিছুলোক বিদ্যালয়ের বাহিরে সড়কের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নজরুলের উপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করে। এতে গুরুতর আহত হন ওই শিক্ষক।
বর্তমানে নজরুল জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে হুমায়ুন মিয়া বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামীরা হলেন- সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়া (৫২), তার তিন ছেলে রুবেল মিয়া (২৮), জহির মিয়া (২১), পাভেল মিয়া (২৪) ও ভাইপো রুহুল আমীন (২৬)। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছিতের কারনে গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়নি। আমি সকল শিক্ষককে নিয়ে আজ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু করেছি। শুনেছি লাঞ্ছিত শিক্ষকের এক স্বজন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়া তার বিরুদ্ধে মামলায় উল্লেখিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শুধু আমার ছেলে আজহার তাকে একটি ঘুষি দিয়েছে। আমি বা অন্য কেউ কিছু করেনি। ঘটনার পর নজরুলের লোকজন বিদ্যালয়ের ফটক ভাংচুর করার চেষ্টা করেছে। দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে পিটিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালেদ জামিল খান বলেন, আমি বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, কোচিং-এর টাকা নিয়ে ওই শিক্ষকের সাথে সভাপতির বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।