Main Menu

সরাইলে মাসিক মাসোয়ারায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥  সরাইলে মাসিক মাসোয়ারার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ২ ডজনেরও অধিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল গ্রাহকের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে মাসিক টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে মাষ্টাররোল কর্মচারী কিবরিয়ার বিরুদ্ধে। কিবরিয়ার সাথে স্থানীয় পিডিবি অফিসের ২/১ জনের জড়িত থাকার বিষয়টিও চাউর রয়েছে ওই এলাকায়। উপজেলার চুন্টা বাজার ও গ্রামে এ ধরণের অবৈধ সংযোগ ব্যবহার হচ্ছে মাসের পর মাস।

স্থানীয় লোকজন জানায়, করাতকান্দি গ্রামের বাসিন্ধা কিবরিয়া। গত ৫-৬ বছর ধরে সরাইল পিডিবি অফিসে মাষ্টাররোলে কাজ করছেন তিনি। বিল বন্টন করাই তার মূল দায়িত্ব। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ অফিসের একাধিক লোকের সহযোগীতায় কিবরিয়া চুন্টা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দু’হাতে টাকা কামাই করছেন। কিবরিয়া অফিসের কাছে গোপন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতেও অগণিত অবৈধ সংযোগ দিয়ে রেখেছেন। বাজারের জামাল ডেকোরেটার্সে গিয়ে দেখা যায় সংযোগ ছাড়াই একটি মিটার লাগানো রয়েছে। তার ঘরে রয়েছে অবৈধ সংযোগ। সেই সংযোগ থেকে আরো ৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাসিক টাকার বিনিময়ে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবারেও সেখান থেকে কিবরিয়া ৮ হাজার টাকা নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। নিখিল পালের দোকেন গিয়েও পাওয়া যায় অবৈধ সংযোগ। সেখান থেকে কিবরিয়ার সাথে কথা বলেই সংযোগ দেওয়া হয়েছে আরো ২-৩ জনকে। এ ছাড়া সেনবাড়ি মার্কেটেও কিবরিয়ার মাধ্যমে এমন অনেক সংযোগ দেয়া হয়েছে। ষাটউর্ধ্ব বয়সের এক লোক বলেন, শুধু বাজারে নয়। গ্রামের ভিতরেও অনেক লাইন কিবরিয়া দিয়ে রেখেছে। তার প্রতিদিনকার আয় ৫ হাজার টাকা। কিবরিয়ার নাম্বার থেকে পিডিবি অফিস থেকে মুঠোফোনে হানিফ নামের এক ব্যক্তি কথা বলে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। কিবরিয়া প্রথমে মিটারের জন্য আবেদন করা আছে বললেও পরবর্তীতে বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।

সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) মো. মাইনুদ্দিন জুয়েল বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কোন বিধান নেই। এটা নিজ বিভাগের সাথে প্রতারণা। সরকারের রাজস্ব গায়েব করে খাওয়া। এ ধরণের কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তি যেই হউক। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।






Shares