Main Menu

ক্ষোভের জের

সরাইলে গৃহবন্দী একটি পরিবার

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ক্ষোভের জের গৃহবন্দী হয়ে আছে একটি পরিবার । বসতবাড়ীর রাস্তার উপর ঘর র্নিমান করে বাদল দাসের পরিবারটিকে গৃহ বন্দী করে রেহেছে রাম চন্দ্র দাস নামে এক শিক্ষক । এ ব্যাপারে র্নিবাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়। র্নিবাহী অফিসার অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হুসেনকে আপোষ মিমাংসা করিবার দায়িত্ব প্রাধান করেন । এ ঘটনাটি ঘটেছে অরুয়াইল ইউনিয়নের দাস পাড়া এলাকায় ।

গতকাল সরেজমিন অরুয়াইল দাস পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাদল চন্দ্র দাস ও তার পরিবারের সকলকে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে ঘর র্নিমান করে রাম চন্দ্র দাস । ৩০/৩৫ বছর যাবত এ রাস্তাটি দিয়ে বাড়ী থেকে বেরোনোর একমাত্র পথ মৃত অজিত দাসের পরিবারের । কিছু দিন হলো মাষ্টার ক্ষোভে বসত বাড়ীর প্রবেশ পথ বন্ধ করে। বেরোনোর কোন পথ নেই। দুঃচিন্তায় আছে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে। এ নিয়ে এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম বাসীদেরকে নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছে।

বাদল দাস থানায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানায়, এ রাস্তা দিয়ে আমরা ৩০/৩৫ বছর যাবত ব্যবহার করে আসিতেছি । মাষ্টার রাম চন্দ্র দাস ও তার লোকজন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর রাস্তার উপর ঘর র্নিমান করে প্রবেশপথ বন্ধ করে । পরিবারের সদস্যের মধ্যে ৬ জন স্কুলে পড়ে। তারাও স্কুলে যেতে পারছে না। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়। মাষ্টার সালিশ বৈঠক মানেনা । এ ব্যাপারে আমি উপজেলা র্নিবাহী অফিসার বরাবর রাস্তা খুলে দেয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন করি । র্নিবাহী অফিসার অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হুসেনকে আপোষ মিমাংসা করিবার দায়িত্ব প্রাধান করেন। এতে আমিসহ চারজন সালিস কারক ঘটনাস্তলে উপস্থিত হলে মাস্টার তার লোকজন নিয়ে ছোড়া, লাটি ও লোহার রড নিয়া আমার উপর আক্রমন চালায় । এলাকার লোকজন আমাকে প্রানে রক্ষাকরে । পরে সালিস কারকদের সম্মুখে আমাকে প্রাননাশের হুমকি প্রধান করে ।

এ বিষয়ে রাম চন্দ্র দাস জানান, সে জায়াগা থেকে বের হওয়ার একাধিক রাস্তা থাকলেও সরাসরি রাস্তার জন্য বাড়ির উপর দিয়ে জায়গা চায়। সেই জায়গা না দেয়ায় তার সাথে বিরোধ শুরু হয়। গত শুক্রবার বিকেলে বাদল চন্দ্রদাস, তার লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এই সময় আমাকে কে বাঁচাতে আসলে আমার স্ত্রী সীমা রানী দাস ও আহত হয়।

এ বিষয়ে অরুয়াইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।






Shares