Main Menu

কাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির সম্মেলন

+100%-

শামীম উন বাছির::কাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম খোকন ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এবারের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সম্মেলন উদ্বোধন করবেন নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হারুন আল রশীদ। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আলহাজ মুশফিকুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, প্রবাসী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ কাজী আনোয়ার হোসেন, এম এ খালেক প্রমুখ।এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। ইতিমধ্যেই শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক পোস্টারিং ও মাইকিং করা হয়েছে। আবদুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চ ময়দানে নির্মিত হচ্ছে প্যান্ডেল।

জেলা বিএনপির বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনে নেতৃত্বের তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না। জেলা আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি সভাপতি আর সদস্যসচিব জহিরুল হক খোকন সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন। খোকন এর আগের কমিটিতেও একই পদে ছিলেন। কচি সহ-সভাপতি থেকে সভাপতি হচ্ছেন। অন্য পদেও তেমন পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সব মিলিয়ে ৮-১০টি পদের নেতৃত্ব পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা গেছে।

১৫ এপ্রিল জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। করা হয় ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি। এই কমিটিকে ৪৫ দিনের মধ্যে সব ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন করে জেলা সম্মেলন করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু সম্মেলন হচ্ছে ৭ মাস পর। এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমানের ঢাকার বাসায় ১০ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই সব ঠিকঠাক হয়। খসড়া কমিটিও তৈরি করা হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হারুন-আল-রশিদের বাসায় যৌথ সভা হয়।

সম্মেলনের বিষয়ে হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, ‘আমরা এখনো কমিটি ঠিক করিনি। সম্মেলনের প্রথম পর্বে হবে জনসভা। এরপর কাউন্সিল অধিবেশন। সেখানে পদের প্রতিদ্বন্দ্বি যদি না থাকলে তো কোনো কথা নেই। যদি প্রতিদ্বন্দ্বি থাকে, তখন আহ্বায়ক কমিটি পরের করণীয় ঠিক করবে।’






Shares