Main Menu

যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী তারা দেশের উন্নয়নেরও বিরোধী-মোকতাদির চৌধুরী এমপি

+100%-

ডেস্ক ২৪::৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সপ্তাহ ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা গতকাল বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে উদ্বোধন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদ অয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যর্নিবাহী কমিটির অন্যতম নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। মেলা আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার হারুন অর রশিদ দুলাল এর সভাপত্তিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক এডঃ সৈয়দ একেএম এমদাদুল বারী, ১৪ দলের সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু, বিশিষ্ট নারী নেত্রী নন্দিতা গুহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোচনা উপ কমিটির আহবায়ক এড. মাহবুবুল আলম খোকন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংস্কৃতিক কর্মী মনির হোসেন। সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের দিন। এ দিন আমাদের অহংকার ও গৌরবের দিন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে এবং সাধারন মানুষের অংশ গ্রহনে আমরা দেশ প্রেমের চেতনা দিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। আর এখন সেই দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুন্দর সুখি সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।  তিনে বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে উন্নয়ন। শিক্ষা, অর্থনীতি, চিকিৎসার, রাস্তা ঘাট ও বিদ্যুৎ এর উন্নয়ন। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন। নারীর অধিকার আদায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সকল ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কোন ধর্মের অবমাননাকে স্বিকার করে না । অপর দিকে যারা স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী তারা দেশের উন্নয়নেরও বিরোধী। তিনি বলেন মুক্তযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের দূর্বলতার সুযোগে দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও রাজাকাররা পূনর্বাসিত হয়েছে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন রাজাকরদের সহমর্মিতা দেখানোর কোন সুযোগ নেই। হত্যা লুন্ঠন ও ধর্ষনের দায়ে ইতিহাসের পাতায়, বাঙ্গালীর হৃদয়ে তারা চিরদিনই ঘৃনার পাত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। তাদের বিচার চলছে। কোন ষড়যন্ত্র করে এই বিচার বন্ধ করা যাবে না। বক্তব্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবদান রাখার জন্য আওয়ামীলীগ নেতাদের স্মরণ করেন এবং আশা প্রকাশ করে বলেন পূর্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘাটি ছিল। এখন আবার তাকে মুক্তিযুদ্ধের ঘটিতে পরিণিত করতে হবে। এখানে রাজাকারদের পূর্নবাসন হবেনা। তাদের আহারের ব্যবস্থা হবে না। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উবুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সকল কে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। মেলায় সাংবাদিক ওসং স্কৃতি কর্মী মনজুরুল আলম এর পরিচালনায় মনোঙ্গ সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা চলবে। মেলায় প্রতিদিন দেশ বরণ্যে ব্যক্তিদের অংশ গ্রহনে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।






Shares