Main Menu

কথা হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায়

+100%-

স্টাফ রিপোর্টার : কথা হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায়। শুধু কথা বলাতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিজের চেহারায় ফিরিয়ে আনা নয়, আরো অনেক কিছু করার আগ্রহেই ফেইজবুকে ‘বাউনবাইরার কতা’ ঠিকানায় জোট বেধেছে ২ সহস্রাধিক তরুন-তরুনী। শুক্রবার স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমীতে হলো এই সংগঠনের সদস্যেদের প্রথম মিলনমেলা আর চা পার্টি। গান, নাটক, লোক ছাড়ায় মেতে উঠেছিল সবাই কয়েক ঘন্টার এই অনুষ্ঠানে। সবই হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায়। ‘বাউনবাইরার কতা’র প্রথম উদ্যোক্তা ডাক্তার সৈয়দা তাছরিন আহমেদ ভিনু বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। সেটি সংরক্ষনের চিন্তা থেকে এই উদ্যোগ । এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই প্রজন্মের ইন্টারনেট ব্রাউজাররা একত্রিত হচ্ছে। এখানকার সংস্কৃতি ইতিহাস-ইতিহ্যের একটি ডিজিটাল আর্কাইভ, ওয়েবসাইট করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। ফেইজবুক ভিত্তিক এই গ্রুপটির বয়স প্রায় সাড়ে ৪ মাসে পড়েছে। এরমধ্যে সদস্য সংখ্যা দাড়িয়েছে ২০১৮ জনে। সংগঠনের তিন সদস্য- রাফি খান, রাফসান খান ও সৈয়দ মঈনুদ্দিন রাজীব বলেন- ‘বাউনবাইরার কতা’ কিছুটা পথ পেরিয়েছে, আরো অনেকটাই বাকি। গ্রুপ, পেজ এমনকি ব্লগ ছাড়িয়ে আমাদের নিজস্ব একটা ওয়েবসাইট নিয়ে চিন্তা করার সময় হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। আমরা চেষ্টা করবো এমন একটা প্লাটফরম তৈরি করে দেয়ার যেখানে এসে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। এমন একটা জায়গা যেখানে সবাই খুশি হতে পারবে, ভাল সময় কাটবে। তারা বলেন আমরা এমন একটি ওয়েবসাইট করতে চাই- যেখানে সবার জন্য কিছু না কিছু থাকবে। কারোর যদি ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র ইতিহাস ঘাঁটার দরকার পড়ে তিনি এখানে এসে আনন্দ পাবেন, কেউ যদি স্রেফ আড্ডায় সময়টা কাটাতে চান তিনিও ভালো সময় কাটাতে পারবেন। একজন আরেকজনের জন্য কাঁটা হয়ে উঠবেন না। থাকতে পারে ‘ব্যবহারকারী’ হিসেবে আলাদা আলাদা লাউন্জ। ‘আড্ডাঘর’এ – আড্ডাবাজি হবে, ‘নোটিশ বোর্ডে’ নোটিশ ঝুলবে, ‘খবরাখবর’-এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীক খবর থাকবে, ‘ঘুরাঘুরি’ তে ঘুরাঘুরি করে আসার বর্ননা আর ছবি থাকবে, ‘কীংবদন্তি’তে প্রচলিত ‘মিথ’, ‘আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’য় ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস আর অন্যান্য বিষয়, ‘লেখালেখি’তে নিজেদের আর বড়দের লেখা,‘পড়ালেখা’য় পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা, চাইলে পরামর্শ, ‘আঁকাআঁকি’- ভাল আঁকেন যাঁরা আর এমনি এমনি আঁকেন যাঁরা তাঁদের জায়গা, আর ‘ছবিয়াল’ এ ছবি তোলেন যারা তাদের হাট। এমন করে যত ভাগ করা যায়। মূল উদ্দেশ্য সবার জন্য কিছু রাখা, সবাইকে নিজের পছন্দ নিয়ে থাকার সুযোগ দেয়া। মূল পেজ এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে এক পাতা লেখা থাকবে, জীবনে যিনি নাম শোনেননি তারও যেন লেখাটা পড়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়ে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে, আগ্রহ তৈরি হয় সাইট নিয়ে।


শুক্রবারে সম্মিলন অনুষ্ঠানের অতিথি কবি মহিবুর রহিম গ্রুপটির উদ্দেশ্য ও কর্মতৎপরতায় অভিভূত হয়ে বলেন, কোন এলাকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও আঞ্চলিক ভাষার সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ন। এটি রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণদের এগিয়ে আসাটা অত্যন্ত প্রশংসার। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাউনবাইরার কতা গ্র“পটির প্রধান পরিচালক ডাক্তার সৈয়দা তাছরিন আহমেদ ভিনু। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে অংশ নেন রাফি খান, জুবায়ের হায়দার রিয়েল, মোঃ সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ মাঈনুদ্দিন রাজীব, রাফসান খান, ফজলে রাব্বি মৃধা, শামুন হাছিন, ডাক্তার মুমিন, সুইটি, কাকলি, মরিয়ম ও সাইফুর রহমান আরজু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন সংস্কৃতি কর্মী আবদুল বাছির দুলাল ও জেবিন ইসলাম।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares