Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুই মন্ত্রী নাসিরনগর ও আখাউড়ায় আনন্দ উল্লাস

+100%-

আজম রাজু ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে :সীমাহীন আনন্দে ভাসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর। মন্ত্রী হয়েছেন অ্যাডভোকেট সায়েদুল হক। নাসিরনগর এই প্রথম মন্ত্রী। অবশ্যই জেলার প্রবীন এই নেতা মন্ত্রী হবেন-এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন আগে থেকেই তার নির্বাচনী এলাকার মানুষজন। বাস্তবে আজ সেই স্বপ্ন পুরন হওয়ায় আনন্দে মতে উঠেছেন নাসিরনগর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।
গতকাল শপথ নেয়ার পরপরই ঢাক-ঢোল-বাজনার শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে সমগ্র নাসিরনগর। মিষ্টি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। পাশাপাশি বের হয় আনন্দ মিছিল, এছাড়াও শনিবার রাতেই তার মন্ত্রী হওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়ে পুরো নাসিরনগর এলাকায়। গতকাল শপথ নেয়ার পরপরই উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগ নাসিরনগর সদরে আনন্দ মিছিল বের হয়। আর সেই আনন্দ মিছিলটির নেতৃত্ব দেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক  এ টি এম মনিরুজ্জান সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জিতু মিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, সুজিত চক্রবর্তী,হাজী সুরুজ আলী প্রমুখ।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খন্ড খন্ড আনন্দ মিছিল করে তার এলাকার সাধারণ জনগণ। জেলার পবীন এই আওয়ামীলীগ নেতা এবার সহ মোট ৫ বার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ টি নির্বাচনী আসনের মধ্য থেকে যদি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জয় নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যায় সেটি হচেছ নাসিরনগর আসনটি তাও সায়েদুল হকের কারণেই। তিনি ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১ গেল ২০০৮এবং বর্তমান ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে পঞ্চম বারের মত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হয়েছেন। এলাকার সৎ মানুষ হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
অপর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪(কসবা-আখাউড়া) উপজেলা দুটিতেও বইছে আনন্দের বন্যা। দেশের খ্যাতিমান আইনজীবি আনিসুল হক মন্ত্রী হবেন-এই খবর ছিল অনেক আগে থেকেই ছিল সবার মুখে মুখে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪(কসবা-আখাউড়া) আসন তাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরই আলোচনা হচিছল যে পরবর্তি সরকারের তিনি মন্ত্রী হচেছন এতে কোন সন্দেহ ছিল না। সৌভাগ্য বান ব্যক্তিটি বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন। সুপিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী তিনি।এছাড়াও বিডিআর হত্যা মামলা ,দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপুর্ণ মামলা পরিচালনা করছেন তিনি। অ্যাডভোকট আনিসুল হকের বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে। আনিসুল হকের পিতা প্রয়াত সিরাজুল হক ওরফে বাচচু মিয়া ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্টজন। এদিকে আনিসুল হক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের পরপরই গতকাল আখাউড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। তারা আতশবাজী ফুটিয় আনন্দ-উল্লাস করে।
রোববার বিকেল সাড় ৫ ঘটিকার সময় পৌর শহরের মটরষ্ট্যান্ডের দলীয় কার্য্যালয় থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি  পৌর শহরের সড়ক বাজার লাল বাজার হয়ে রাধানগর এলাকা প্রদক্ষিণ করে।  এছাড়াও আনন্দ মিছিলে অংশ গ্রহন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, যুগ্ন- সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভুইয়া, উপজেলা স্বেচছাসেবক লীগ সভাপতি দানিছ খলিফা, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানজিল শাহ, সহ-সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম।
মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্য্যালয়ে এসে শেষ হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করা হয় এ উপলক্ষে।
উল্লখ যে দীর্ঘ তিন যুগ পর এবারই পুর্ণ মন্ত্রী পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তাও আবার দুইজন একজন বিশিষ্ট আইনজীবি অপরজন প্রবীন ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ।






Shares