Main Menu

খালেদার নিরাপত্তারক্ষী-পুলিশ ধস্তাধস্তি, টুকু আটক।প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির মিছিল

+100%-

টুকুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল


প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরন,  পুলিশী হামলা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ’কে আটকের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপি ও ছাত্রদল সোমবার গভীর রাত্রে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন করে।

মিছিলে অংশ নেন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদল নেতা  মনির হোসেন, আলী আজম, মিজানুর রহমান, মাইনুল হোসেন চপল, ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ শামীম মোলা, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ ইয়াছিন প্রমুখ।

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা সদস্যকে পেটালো পুলিশ, টুকু আটক

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা সদস্যকে পেটালো পুলিশ, টুকু আটক – See more at: http://dhakatimes24.com/index.php?view=details&data=Natok&news_type_id=1&menu_id=2&news_id=68879#sthash.cjuQNs7P.dpuf

নয়াপল্টনের কার্যালয়ে অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে দেখে ফেরার সময়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর থেকে ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের দস্তাদস্তির ঘটনা ঘটে। এর ফলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ১৫ মিনিট কার্যালয়ের সামনের সড়কে থেমে ছিল।

টুকুকে নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশ পল্টন থানায় নিয়ে যায়।

সোমবার রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া কার্যালয় থেকে গুলশানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তার গাড়ির পেছনে নিরাপত্তা কর্মীদের একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিত-ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিরোধীদলীয় নেতার দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে প্রহার করে। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

পুলিশ এ সময়ে বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তা কর্মকর্তার একটি মাইক্রোবাসের পাশের গ্লাস ভেঙে ফেলে।

পরে বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস সেখানে উপস্থিত মতিঝিল জোনের ডিসি আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জামানকে বলেন, ‘‘এভাবে বিরোধীদলীয় নেতার গাড়িবহর থেকে কৌশল করে টুকুকে গ্রেফতার করা সঠিক কাজ আপনারা করেননি।’’

জবাবে ডিসি বলেন, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কিভাবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশের গায়ে হাত তুলেন, তা আমাদের বলতে দুঃখ হয়। এটা তারা (খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মীরা) ঠিক কাজ করেননি।’’

পরে শিমুল বিশ্বাস ডিসিকে অনুরোধ জানায় আটক টুকুকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। টুকুকে ছেড়ে দেওয়া হবে- ডিসি’র এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে চলে যায়।

এদিকে মতিঝিল জোনে এডিসি মেহেদি হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ম্যাডামের গাড়িবহর যখন সাজানো হচ্ছিল, তখন পেছন থেকে একটি গাড়ি আমাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমার ডান হাতে এখনো রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই দেখুন।’’

‘‘ওই গাড়িতে আরোহী ছিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’’

গাড়ি চাপা দিলে গাড়ি চালককে আটক না করে আরোহীকে আটক করা হলো কেন প্রশ্ন করা হলে মেহেদি বলেন, ‘‘চালক পালিয়ে গেছে। কিন্তু আমাকে টার্গেট করে কোন ষড়যন্ত্রে চাপা দিতে চেয়েছে সেজন্য টুকুকে আটক করা হয়েছে।’’

এর আগে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে নয়াপল্টনে অবরুদ্ধ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে যান খালেদা জিয়া।

গত শুক্রবার থেকে নয়াপল্টনের কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। কোনো নেতা-কর্মীকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। রিজভী শুক্রবার থেকেই এই কার্যালয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।

খালেদা জিয়া তৃতীয় তলায় রিজভীকে দেখতে আসেন। তার সর্বশেষ অবস্থা চিকিৎসকদের কাছ থেকে অবহিত হন। তিনি রিজভীর সঙ্গে কথা বলেন। কিছু সময় অবস্থানের পর তিনি কার্যালয় থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

এ সময়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, সহ-সভাপতি সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, সাংবাদিক শফিক রেহমান, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংসদ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ প্রমুখ ছিলেন।

এদিকে খালেদা জিয়া নয়াপল্টনের কার্যালয়ে আসবেন-এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। বিরোধীদলীয় নেতা কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা শ্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়।

নয়াপল্টনের কার্যালয়ে অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে দেখে ফেরার সময়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর থেকে ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের দস্তাদস্তির ঘটনা ঘটে। এর ফলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ১৫ মিনিট কার্যালয়ের সামনের সড়কে থেমে ছিল।
টুকুকে নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশ পল্টন থানায় নিয়ে যায়।
সোমবার রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া কার্যালয় থেকে গুলশানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তার গাড়ির পেছনে নিরাপত্তা কর্মীদের একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিত-ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিরোধীদলীয় নেতার দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে প্রহার করে। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পুলিশ এ সময়ে বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তা কর্মকর্তার একটি মাইক্রোবাসের পাশের গ্লাস ভেঙে ফেলে।
পরে বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস সেখানে উপস্থিত মতিঝিল জোনের ডিসি আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জামানকে বলেন, ‘‘এভাবে বিরোধীদলীয় নেতার গাড়িবহর থেকে কৌশল করে টুকুকে গ্রেফতার করা সঠিক কাজ আপনারা করেননি।’’
জবাবে ডিসি বলেন, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কিভাবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশের গায়ে হাত তুলেন, তা আমাদের বলতে দুঃখ হয়। এটা তারা (খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মীরা) ঠিক কাজ করেননি।’’
পরে শিমুল বিশ্বাস ডিসিকে অনুরোধ জানায় আটক টুকুকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। টুকুকে ছেড়ে দেওয়া হবে- ডিসি’র এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে চলে যায়।
এদিকে মতিঝিল জোনে এডিসি মেহেদি হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ম্যাডামের গাড়িবহর যখন সাজানো হচ্ছিল, তখন পেছন থেকে একটি গাড়ি আমাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমার ডান হাতে এখনো রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই দেখুন।’’
‘‘ওই গাড়িতে আরোহী ছিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’’
গাড়ি চাপা দিলে গাড়ি চালককে আটক না করে আরোহীকে আটক করা হলো কেন প্রশ্ন করা হলে মেহেদি বলেন, ‘‘চালক পালিয়ে গেছে। কিন্তু আমাকে টার্গেট করে কোন ষড়যন্ত্রে চাপা দিতে চেয়েছে সেজন্য টুকুকে আটক করা হয়েছে।’’
এর আগে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে নয়াপল্টনে অবরুদ্ধ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে যান খালেদা জিয়া।
গত শুক্রবার থেকে নয়াপল্টনের কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। কোনো নেতা-কর্মীকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। রিজভী শুক্রবার থেকেই এই কার্যালয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
খালেদা জিয়া তৃতীয় তলায় রিজভীকে দেখতে আসেন। তার সর্বশেষ অবস্থা চিকিৎসকদের কাছ থেকে অবহিত হন। তিনি রিজভীর সঙ্গে কথা বলেন। কিছু সময় অবস্থানের পর তিনি কার্যালয় থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এ সময়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, সহ-সভাপতি সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, সাংবাদিক শফিক রেহমান, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংসদ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ প্রমুখ ছিলেন।
এদিকে খালেদা জিয়া নয়াপল্টনের কার্যালয়ে আসবেন-এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। বিরোধীদলীয় নেতা কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা শ্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়।

– See more at: http://sheershanews.com/2013/10/21/8016#sthash.KgOblKYx.dpuf

নয়াপল্টনের কার্যালয়ে অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে দেখে ফেরার সময়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর থেকে ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের দস্তাদস্তির ঘটনা ঘটে। এর ফলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ১৫ মিনিট কার্যালয়ের সামনের সড়কে থেমে ছিল।
টুকুকে নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশ পল্টন থানায় নিয়ে যায়।
সোমবার রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া কার্যালয় থেকে গুলশানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তার গাড়ির পেছনে নিরাপত্তা কর্মীদের একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিত-ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিরোধীদলীয় নেতার দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে প্রহার করে। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পুলিশ এ সময়ে বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তা কর্মকর্তার একটি মাইক্রোবাসের পাশের গ্লাস ভেঙে ফেলে।
পরে বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস সেখানে উপস্থিত মতিঝিল জোনের ডিসি আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জামানকে বলেন, ‘‘এভাবে বিরোধীদলীয় নেতার গাড়িবহর থেকে কৌশল করে টুকুকে গ্রেফতার করা সঠিক কাজ আপনারা করেননি।’’
জবাবে ডিসি বলেন, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কিভাবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশের গায়ে হাত তুলেন, তা আমাদের বলতে দুঃখ হয়। এটা তারা (খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মীরা) ঠিক কাজ করেননি।’’
পরে শিমুল বিশ্বাস ডিসিকে অনুরোধ জানায় আটক টুকুকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। টুকুকে ছেড়ে দেওয়া হবে- ডিসি’র এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে চলে যায়।
এদিকে মতিঝিল জোনে এডিসি মেহেদি হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ম্যাডামের গাড়িবহর যখন সাজানো হচ্ছিল, তখন পেছন থেকে একটি গাড়ি আমাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমার ডান হাতে এখনো রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই দেখুন।’’
‘‘ওই গাড়িতে আরোহী ছিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’’
গাড়ি চাপা দিলে গাড়ি চালককে আটক না করে আরোহীকে আটক করা হলো কেন প্রশ্ন করা হলে মেহেদি বলেন, ‘‘চালক পালিয়ে গেছে। কিন্তু আমাকে টার্গেট করে কোন ষড়যন্ত্রে চাপা দিতে চেয়েছে সেজন্য টুকুকে আটক করা হয়েছে।’’
এর আগে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে নয়াপল্টনে অবরুদ্ধ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে যান খালেদা জিয়া।
গত শুক্রবার থেকে নয়াপল্টনের কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। কোনো নেতা-কর্মীকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। রিজভী শুক্রবার থেকেই এই কার্যালয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
খালেদা জিয়া তৃতীয় তলায় রিজভীকে দেখতে আসেন। তার সর্বশেষ অবস্থা চিকিৎসকদের কাছ থেকে অবহিত হন। তিনি রিজভীর সঙ্গে কথা বলেন। কিছু সময় অবস্থানের পর তিনি কার্যালয় থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এ সময়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, সহ-সভাপতি সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, সাংবাদিক শফিক রেহমান, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংসদ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ প্রমুখ ছিলেন।
এদিকে খালেদা জিয়া নয়াপল্টনের কার্যালয়ে আসবেন-এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। বিরোধীদলীয় নেতা কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা শ্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়।

– See more at: http://sheershanews.com/2013/10/21/8016#sthash.KgOblKYx.dpuf







Shares