Main Menu

মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে চারদিনব্যাপী কুকুরের টিকাদান কর্মসূচী

+100%-

প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে জলাতংক রোগ থেকে মুক্ত করতে জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, জলাতংক প্রতিরোধে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচী (এমডিভি-২০১৩) এর বাস্তবায়ন উপলে স্বেচ্ছাসেবকদের এক প্রশিণ কর্মশালা সোমবার পৌরসভার মাহবুবুল হুদা সভাকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে উক্ত ঠিকাদান কর্মসূচী সফল করার ল্েয আজ থেকে চারদিনব্যাপী এক কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ ভোর ৫টায় থেকে পর্যায়ক্রমে পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে উক্ত কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হবে। এ উপলে গতকাল টিকাদান কর্মসূচীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের উক্ত প্রশিণ প্রদান করা হয়।
পৌর সচিব মোঃ ইসহাক ভূঞা’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সরফরাজ খান চৌধুরী। কর্মশালায় প্রশিক হিসেবে টিকাদান কর্মসূচীর কুকুর গণনা, কুকুর ধরা, টিকাদান পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন (এমডিভি ২০১৩) এর প্রজেক্ট সুপার-ভাইজার পারভেজ আলম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শওকত আহমেদ এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জিব সূত্রধর, পৌরসভার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম, ভেটেরিনারী অফিসার ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ মোস্তাকিম আহমেদ, কন্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর মীর মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জলাতংক একটি মরণব্যাধী। এ ব্যাধি থেকে ২০২০ এর মধ্যে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে বর্তমান সরকার এই জন গুরুত্বপূর্ণ পদপেটি বাস্তবায়ন করছে। মানবসেবা ও দেশ সেবার মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে টিকদান কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করার লে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদেরকে  সহযোগিতা করার জন্য সর্বস্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রতি বক্তারা উদ্বাত্ত আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রন বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার  উদ্যোগে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের ৫০জন কর্মীদের ডগ কাউন্টার, ডগ ক্যাচার ও ভ্যাকসিনেটর এ তিনটি গ্র“পে প্রশিণ প্রদান করা হয়। ১ বৎসর ও তদুর্ধ্ব বয়সী সকল কুকুরকেই এই ভ্যাকসিনটি প্রদান করা হবে। ভ্যাকসিন এর কার্যকারীতা ১ বৎসর পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। বাংলাদেশকে জলাতংক মুক্ত করার ল্েয প্রতিটি কুকুরকে তিন বছরে তিনটি টিকা প্রদান করা হবে মর্মে কর্মশালায় জানানো হয়।






Shares