Main Menu

১২ এপ্রিল ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় মহাসমাবেশ ঢাকা অবরোধ ৫ মে

+100%-

ডেস্ক ২৪: আগামী সোমবার (৮ এপ্রিল) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম।

শনিবার বিকেলে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে লংমার্চ শেষে আয়োজিত মহাসমাবেশে মওলানা আবু জুনায়েদ বাবুনগরী এ হরতাল ঘোষণা করেন।

এছাড়া তিনি আরও ঘোষণা দেন, আগামী ১১ এপ্রিল সিলেট, ১২ এপ্রিল ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ, ১৮ এপ্রিল বরিশাল, ১৯ এপ্রিল ফরিদপুর, ২০ এপ্রিল খুলনা, ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম, ২৯ এপ্রিল রাজশাহী ও ৩০ এপ্রিল বগুড়ায় শানে রেসালাত মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম।

এই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধ করবে হেফাজতে ইসলাম। আটক নেতাকর্মীদের শনিবার রাত ১০টার মধ্যে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

হেফাজত নেতারা বলেন, তাদের এ আন্দোলন কাউকে ক্ষমতচ্যুত নয়, তবে সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে হলে দাবি মেনেই থাকতে হবে।

নেতাদের বক্তব্য শেষে সংগঠনের আমীর শাহ আহমদ শফি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এর আগে কর্মসূচির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মুফতি ফয়জুল্লাহ। ঘোষণা পত্রে বলা হয়-

(১) ধর্মনিরপক্ষতা বর্জন করে ধর্মের শাস্বত সুন্দরের প্রতি সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে আল্লাহর উপর পূর্ণ স্থাপন করতে হবে।

(২) ভবিষ্যতে সরকারকে ইসলাম অবমাননা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাস্তিকদের বিনা বিচারে ও বিনা শাস্তিতে পার পাবার অবকাশ থাকতে পারে না। শাহবাগে নেতৃত্বদানকারী নাস্তিক-মুরতাদদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দিকে হবে।

(৩) এ ধরণের ঘটনার মধ্যদিয়ে ইসলাম অবমাননার তৎপরতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। আল্লাহ ও রাসুল (সা.), কোরআন ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা, মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

(৪) রাষ্ট্র পক্ষ থেকে আল্লাহ বিশ্বাসী ও রাসুল (সা.)-প্রেমী ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি পুন:সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী আলেম-ওলামা-ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর হামলা মামলা দমন নিপীড়ন, নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। চলমান আন্দোলনে আইন শৃংখলা বাহিনী ও সরকার সন্ত্রাসী দুস্কৃতকারী কর্তৃক গুলিবর্ষণ নির্যাতন নিপড়িন ও হত্যাকানেইডন বিচার করতে হবে।

(৫) ধর্মীয় অধিকার রক্সা চেষ্পটার কারণে মুসলমানদের রাষ্ট্রীয় ইন্ধনে কষ্ট দেয়অর চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। যে কারণেই ইসলাম অবমাননার অভিযোগে বিক্ষোভে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম ওলামা মাদ্রাসার ছঅত্র ও তৌগহিদ জনাত অবিলম্বে মুকক্তি দিতে হবে। তাদের বিরুদ্নেধ দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হব্ৎে

(৬) পৃথিবীর কোন দেশেই মুসলমিন প্রধান দেশে এমন প্রতিবন্ধকতা কল্পনাও করা যায় না। অথচ জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ে সরকারী উদ্যোগে বিধিনিধেষ ও নিয়নন্ত্র আরোপ করা হচ্ছে। জাতয়ি মসজিদ জবায়তুল মোকাররম সহ সব মুসজিদে মুসলমানদের নামাজ আদয়ে নির্বিংঘ্নে করতে হবে। ইবাদাত সব ধরণের বাধা প্রদানের চেষ্পটা বন্ধ করতে হবে।

(৭) ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব ধরণের আচরণগত অনাচার, অশষালীলতা, রনারী পুরুষের অবাধ মে লামেশা, জাতীয় পর্যায়ে মঙ্গলপ্রদীপ, বিজাতীয় ও ভিন্ন ধর্ময়ি সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

(৮) খতমে নবওেতেকর আদলে কাদিয়ানী রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ও সংখ্যালঘু ঘোষণা করতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা বনআধ করতে হবে। তাদের পণ্য প্রাণ, আরএএল, সিজান ইত্যাদি বর্জন করতে হবে।

(৯) মুসলিম প্রধান দেশের বাছবিচার হীন হয়ে পৌত্তলিক সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ চেষ্টায়। মসজিদের নগরী ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় ভাসস্কর্যে নাম মূর্তি স্থাপন বন্ধ

(১০) ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থান। ধর্মহীন শিক্ষানীতি, নারীনীতির বিরোধীত্। উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

(১১) ছাত্র শিক্ষকা ওলামা মাশায়েখ, ইমামদের হুমকি ধামকী ভয়ভীতি, সকল ষড়ন্ত্র বন্ধ করতে হবে।

(১২) কঠোরভাবে ইসলামের প্রতি ইসলামের চিহ্ন ও চরিত্র নিয়ে বিদ্রুপ ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার তৎপরতা নিন্দা করছে। ঘোষণা করছে যে, রেডিও টেলিভিশন সহ সদাড়ি টুপ ও ইসলামী কৃষ্টি কালচার নিয়ে নাটক সিনেমা ও নেতিচাক চডিরত্রে ধর্মীয় পোশাক পরিয়ে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ইসলামের প্রতি বিদ্বেসের অপপ্রয়াস বন্ধ করত হবে।

(১৩) পাবর্তত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী তৎপরতা, খৃষ্পান মিশনারীদের ধর্মান্তর সহ সবকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।






Shares