Main Menu

ট্রেন থেকে ফেলে যাত্রী হত্যার ঘটনায়, মামলা দায়ের, তিন পুলিশ কোজড, তদন্ত কমিটি গঠন, ৭ জন আটক

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেন ডাকাতির ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। নিহত সাহানা বেগমের স্বামী বিজয়নগর উপজেলার নলগড়িয়া গ্রামের মুসলিম মিয়া অজ্ঞাতনামা ৭ জনের নামে গত বৃহস্পতবিার রাতে এ মামলা দায়ের করেন।

তাছাড়া ওই ট্রেনে কর্তব্যরত রেলওয়ে পুলিশের তিন সদস্যকে কোজড করা হয়েছে। এরা হলেন-ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের কনস্টেবল আবু তাহের, মকবুল হোসেন ও আতিউর রহমান।

ঘটনা তদন্তে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ড্যান্ট ফারুক আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ ও অতিরিক্ত যান্ত্রিক প্রকৌশলী পার্থ সরকার। তাদেরকে আগামি পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার রেলওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

রেলওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বলেন, রেলওয়ে পুলিশের কার্যক্ষেত্র অনেক বড়। আমাদের একার পে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়। এজন্যে জেলা পুলিশের সহায়তা নেয়া হবে। তিনি ঘটনার সময় জিআরপি পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়ে বলেন তারা দোষী হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করতে পারলে ঘটনার রহস্য উদঘাটন তরান্বিত হবে বলে জানান তিনি।

দেশে প্রচলিত মেইল ট্রেন সম্পর্কে তিনি বলেন, মেইল ট্রেন গুলোর (কাটা বগি) একটি বগি থেকে আর একটিতে চলাচলের সুবিধা নেই। ট্রেনগুলো আবার থাকে অন্ধকারাচ্ছন্ন। এর ফলে নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা লোকদেরও নিরাপত্তা থাকেনা। এই ধরনের মেইল ট্রেন আমাদের দেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও চলে না । কিভাবে ট্রেনের নিরাপত্তা বাড়ানো যায় তা নিয়ে আমরা ভাবছি। এছাড়া পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সন্দেহভাজন সাতজনকে আটক করেছে।

হত্যাকান্ডের রহস্য প্রসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডটি দুটি কারণে ঘটে থাকতে পারে বলে আমার ধারণা। এক, ষ্টেশনের এক মাইল দূরে সংঘঠিত ডাকাতির পর যদি ট্রেন থেকে না ফেলত, তাহলে ষ্টেশনে আসলে যাত্রীরা চিৎকার করলে ডাকাতরা ধরা পড়ে যেত। দুই, যাত্রীদের কেউ হয়ত ডাকাতদের চিনে ফেলেছিল।

সর্বশেষ পাওয়া  তথ্যে জানা গেছে, এ ঘটনায় বেচে যাওয়া নাছিরনগর উপজেলার সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম থানায় গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া লোকজনকে দেখেছেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, থানা হাজতে যাদের দেখেছেন, তাদের মধ্যে ঘটনায় জড়িত কেউ নেই । সে দিন ট্রেনে প্রায় আটজন ডাকাত ছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে তিনি চিনতে পারবেন ।






Shares