Main Menu

৬ দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক বরাবরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির স্মারকলিপি প্রদান

+100%-

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২৫ এপ্রিল, বুধবার ৬ দাবী বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আহসানউল্লাহ হাসানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, মোঃ শাহ আলম মোল্লা, কামরুল হাসান খান, কামরুজ্জামান সবুজ, ইমুনি ইস্টিয়ান, হারুন অর রশিদ চৌধুরী, এডঃ শরিফ উদ্দিন সরকার, লিমা বেগম, খন্দকার রাসেল প্রমুখ।

দাবীসমূহ হলো: ১। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অক্ষুন্ন ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন করতে হবে। সম্প্রতি যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের নানাভাবে হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ২। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধীদের স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পদ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের আয়ত্বে আনতে হবে। ৩। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধীদের তালিকা প্রকাশ এবং তাদের সন্তান ও প্রজন্ম ১০ পুরুষ পর্যন্ত সরকারী- আধা সরকারী- স্বায়ত্বশাসীত সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে নিয়োগ ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি যারা সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ পেয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। ৪। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ব্যানার ব্যবহার করে নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর অগ্নি সংযোগ অবমূল্যায়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার পরিবার নিয়ে কটুক্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর শারিরীকভাবে নির্যাতন করে প্রাননাশের চেষ্টা করেছে এবং সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং উস্কানীদাতা তারেক জিয়াসহ সকল ব্যক্তি ও সংগঠন সমূহের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫। যে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অপ্রচার চালিয়ে দেশে অরাজকতা ও অশান্তি সৃষ্টি করেছে তাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৬। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের যে সকল প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষকগণ নেপথ্যে থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে মদদ দিয়েছে অনতিবিলম্বে তাদের অব্যাহতিসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।






Shares