Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসের পরিমাণ এত বেশি তা কল্পনা করা যাচ্ছে না। প্রতিবারই কিছু হলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা করা হয় বলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ।

বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতকর্মীদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেভাবেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের বড় শক্তি। সেজন্য তারা বারবার সংস্কৃতির ওপর হামলা চালায়। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর যে সব প্রতিষ্ঠান অবদান রাখতে পারে সে সব প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা চালায় তারা। শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি সেগুলো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে।’

স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ‘বিশ্বাস করা যায় না এমন ধ্বংসযজ্ঞ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা চালিয়েছে। যে ক্ষতি হয়েছে, আমরা সেগুলো পুনরায় নির্মাণ করব। যারা এ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

এর আগে ২৬ মার্চ (শুক্রবার) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৮ মার্চ (রোববার) পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজত কর্মীরা।

হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, জেলা গণগ্রন্থাগার, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।






Shares