Main Menu

সেন্দ গ্রামে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ইজারার বিল থেকে মাছ ধরা ও চুরির অভিযোগ

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় প্রভাবশালী গোষ্টির বিরুদ্ধে ইজারাপ্রাপ্ত জলমহালে অবৈধভাবে কারেন্টজাল দিয়ে মাছ ধরার এবং চুরির অভিযোগ উঠেছে। বাঁধা দিযে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাবশালীর মারধরের শিকার হয়েছেন। প্রতিপক্ষের হুমকির ভয়ে সমিতির সভাপতির পরিবারের পুরুষ লোকজন এখন গ্রামছাড়া।

এদিকে এঘটনায় সমিতির সভাপতি মালু মিয়া গত বুধবার সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মালু সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দগ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে রামরাইল ইউনিয়নের বিল দুগাংগী (বদ্ধ) জলমহালটি ছয় বছরের জন্য ইজারা পান বার আউলিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটটেড। মালু মিয়া সমিতির সভাপতি ও হাবির মিয়া সাধারণ সম্পাদক।

লিখিত এজহার সূত্রে জানা গেছে, সেন্দবাজারের প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ মো. শাহজাহান, তার ছোট ভাই দুলাল মিয়া, মস্তু মিয়া, কাউছার মিয়াসহ তাদের পক্ষের লোকজন দীর্ঘদিন ধরেই রাতের আঁধারে মালু মিয়ার ছয় বছরের জন্য ইজারাপ্রাপ্ত বিল দুগাংগী জলমহাল থেকে কারেন্টের জাল দিয়ে মাছ ধরেন। তারা এসব মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। জলমহাল ইজারা পাওয়া সমিতির সভাপতি মালু মিয়া বাঁধা-নিষেধ দিলেও প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ তা শুনেননি। গত ৪ নভেম্বর সকালে সেন্দ বাজার থেকে মাছ বিক্রির দুই লাখ টাকা নিয়ে সমিতির সভাপতি মালু ও সাধারণ সম্পাদক হাবির শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সেসময় গ্রামের প্রভাবশালী শাহজাহান, তার ছোট ভাই দুলাল, মস্তু, কাউছারসহ তাদের লোকজন হাতের রামদা, লোহার রড, বল্লম, এককাইট্টা নিয়ে তাদের ঘেরাও করেন। বাজারে থাকা মালুর বৃদ্ধ বাবা আব্দুল হেকিমকে (৮০) ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। পরে মালু ও হাবিরকে এলোপাথারি মারধর করেন। তারা একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে মাছ বিক্রির দুই লাখ টাকা এবং দুটি মুঠোফোন সেট লুট করে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওইদিন প্রতিপক্ষের লোকজন মালুর বাড়িতেও হামলাও চালায়। পরে মালু ও হাবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

মালুর বাবা আব্দুল হেকিম, স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, প্রতিবেশী স্থানীয় ইউপি সদস্য জিলানী মিয়াও তাদের পক্ষে বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গেছেন।

দুলাল মিয়া ও মস্তু মিয়া বলেন, আমরা মালু মিয়াকে বিলে মাছ ধরতে কোনো বাধা দেয়নি। জলমহালের পাশে আমাদের ১৮কানি জমি রয়েছে। তারমধ্যে একটি জমিতে পানির নিচে রয়েছে। সেখানকার মাছ ধরা নিয়েই মুল দ্বন্দ্ব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares