Main Menu

সুদ্ধ সংস্কৃতির চার্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মমের মাঝে আমাদের স্বদেশ, নিজেম্ব সংস্কৃতির, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে:: উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি

+100%-

mp12115প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, “বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব” উদযাপন পষর্দের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম ছিলো সরাদেশে। দেশের জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর অগ্রনী ভূমিকা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর গৌরবজ্জ¦ল ভূমিকা। কালে কালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহামণিষীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনামকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বজুরে। কিন্তু কালের বিবর্তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই ঐতিহ্য, সেই সুনাম ও গৌরবের জৌলুস হারাতে বসেছে। তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই সুনাম ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকলকে নিজ নিজ অবস্থান একযোগে কাজ করতে হবে।

মোকতাদির চৌধুরী গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে অনুষ্ঠিত বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবের সমাপনী দিনের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তিতায় উপরোক্ত কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন সুদ্ধ সংস্কৃতির চার্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মমের মাঝে আমাদের স্বদেশ, নিজেম্ব সংস্কৃতির চর্চা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গ সংস্কৃতির উৎসব একটি বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করবে। আর এই ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে অতিতেরমত অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন আমার রাজনীতিকে সংস্কৃতিসহ তৃনমূল পর্যন্ত প্রসারিত করতে চাই। এই জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা, সংস্কৃতির প্রসার সহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে। এই মহৎ কাজে সকলের সহযোগিতা করতে হবে।

সাহিত্য একাডেমী-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ ও চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভায় বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শ্যামল চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, ত্রিপুরার কবি বিমলেন্দ্র চক্রবতি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব বাস্তাবায়ন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রের আহবায়ক কবি জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি মুহিবুর রহিম ও সরাফত হোসেন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পী প্রাণেশ সোম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লালনচর্চা একাডেমী এর শিল্পীবৃন্দ, কবিতা পাঠ করেন চট্টগ্রামের বাচিক শিল্পী প্রবীর পাল। উল্লেখ্য আমরা সকলে মিলে একটি পদ্মের পাঁপড়ি হয়ে বিকশিত হবো-এ-ই হোক আমাদের প্রত্যয়, প্রার্থনা ও প্রতিজ্ঞা এই লক্ষ্যেকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয় “বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব”।

দেশ বিদেশের বাঙ্গালী মনিষার এই মহাসম্মিলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে ও চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ প্রাঙ্গনে একযোগে অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপী এই উৎসব গতকাল শেষ হয়।






Shares