Main Menu

সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ অনেক ধরণের সংবর্ধনা পেয়ে থাকেন, তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পক্ষ থেকে কৃতি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের যে সংবর্ধনা দিয়েছে তা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ – জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা পৌর মিলনায়তনে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান, এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক, জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডঃ শফিউল আলম লিটন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল করিম, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নয়ন।

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি এডঃ এনামুল হক কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফের পরিচালনায় এ সময় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এডঃ লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভূইয়া শিপু।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়ে বক্তারা বলেন, ৭১ সালের সূর্যসন্তানদের প্রতি আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা যে সম্মান দেখিয়েছে তা অভূতপূর্ব। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃতি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের যে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। বক্তারা এ সংবর্ধনা প্রতিবছর অব্যাহত রাখারও কথা বলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার ৭১ এর বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৭জন মুক্তিযোদ্ধাকে মরণোত্তর সংবর্ধনা এবং ৯টি উপজেলা থেকে ১০জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল করিম, এভারেষ্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারকে মুক্তিযোদ্ধার কৃতি সন্তান হিসেবে সংবর্ধিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহ সভাপতি এডঃ বশির আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রাজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজন আহমেদ পিয়াস, অর্থ সম্পাদক বাবুল মিয়া, সদস্য শামীম আহমেদ, রিফাত আহমেদ প্রমুখ। আলোচনা সভাশেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটক ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় “যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি” ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।






Shares