Main Menu

“ আসন্ন কপ -২৫ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নে দূষণকারী  শিল্পোন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রুতির বাস্তব অগ্রগতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি”

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর আয়োজনে মানববন্ধন

+100%-

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর আয়োজনে আজ সকাল ১০:৩০ টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে আসন্ন ০২-১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিতব্য কপ – ২৫ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত চুড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন ও প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য মানববন্ধনে দাবি উত্থাপন করা হয়।
এর পাশাপাশি মানববন্ধনে কপ -২৫ সম্মেলনে বাংলাদেশ কর্তৃক উত্থাপনযোগ্য নিমোক্ত দাবি উত্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়-
দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান নীতি বিবেচনা করে ঋণ নয়, শুধু সরকারি অনুদান, যা প্রতিশ্রুতিরবিপরীতে প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে;
ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরিকল্পিত অভিযোজনের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল হতে প্রয়োজনীয় তহবিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাসময়ে, সহজে সরবরাহের জন্য বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সমন্বিতভাবে (ক্লাইমেট ডিপ্লোম্যাসির মাধ্যমে) দাবি উপস্থাপন করতে হবে এবং তা আাদায়ে দর কষাকষিতে দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে;
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে চাহিদা মাফিক জলবায়ু অনুদান ভিত্তিক তহবিল প্রদানে একটি সময়াবদ্ধ রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে;
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ নিশ্চিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলো হতে প্রয়োজনীয় সম্পদ (জলবায়ু তহবিল, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং কারিগরি সহায়তা) সরবরাহের জোর দাবি উত্থাপন করতে হবে;
স্বল্পোন্নত দেশে অভিযোজন বাবদ অর্থায়নের অতিরিক্ত হিসেবে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় বিশেষ তহবিল গঠন এবং তার জন্য দ্রুত অর্থায়ন নিশ্চিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সোচ্চার হতে হবে;
‘ক্ষয়-ক্ষতি’ মোকাবেলায় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় বীমার পরিবর্তে উন্নত দেশসমূহ কর্তৃক ক্ষতিপূরণ আদায় করে ‘ঝুঁকি বিনিময় খরচ’ একটি আইনি কাঠামোর মাধ্যমে কার্যকর করতে হবে; এবং
জলবায়ু-তাড়িত বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন, কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে জিসিএফ এবং অভিযোজন তহবিল থেকে বিশেষ তহবিল বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, কলেজের শিক্ষার্থী, সনাক সদস্যবৃন্দ, স্বজন সদস্যবৃন্দ, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সহ সভাপতি আবদুন নূর বলেন উন্নত ও প্রভাবশালী দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণে স্বেচ্ছাচারীতার কারণে বৈশি^ক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন আসন্ন কপ -২৫ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন এবং ক্ষতিপুরণ হিসেবে ঋণ নয় অনুদান প্রদানের দাবি উত্থাপন করতে হবে। তিনি আরও বলেন বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার উন্নয়নের জন্য পরিবেশ বিধ্বংসী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে সুন্দরবনসহ পরিবশেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনি সরকারের প্রতি কয়লাভিত্তিক তাপ বিদুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য প্রদান করেন সনাক সদস্য প্রকৌ: আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ, এডাব ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি এস এম শাহীন, চেঞ্জ এর নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার এবং সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন জামী। মানববন্ধনে অবস্থান পত্র পাঠ করেন সনাক এর ইয়েস দলনেতা হৃদয় দাস।






Shares