ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে আমানুল হক সেন্টু ৭১ টেলিভিশন এবং স্থানীয় একটি পাক্ষিক পত্রিকায় এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং মানহানীকর বক্তব্য দিয়েছেন তা একটি গভীর যড়যন্ত্রেরই অংশ। তিনি বলেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে যে বিষেদগার করেছেন, কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাঁদের সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা হবে। তাদের মানহানীকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে তাঁকে (মোকতাদির চৌধুরী) ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারকে জড়িয়ে আমানুল হক সেন্টু ও শফিকুল আলমের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, যে দু’জন আমাদের বিরুদ্ধে কুরুচীপূর্ন বক্তব্য ও বিষেদগার করেছেন তাদের মধ্যে একজন নিঃসন্দেহে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি নিজে অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি ওই দুই নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে বিষেদগার করে লাভ হবেনা। আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ আছে। ঐক্যবদ্ধভাবেই সকল প্রতিকূলতার মোকাবেলা করা হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, আবদুল ওয়াহেদ খান লাভলু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রা, জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস প্রমুখ।

এদিকে সমাবেশ শুধু হওয়ার আগেই জেলা আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে এসে সমাবেশে যোগ দেন।