Main Menu

শিমরাইলকান্দিতে মাদকের ৩টি আস্তানা উচ্ছেদ, বিক্ষুদ্ধ জনতার ভাংচুর, আটক ১ (ভিডিও)

+100%-

br 18-10-15
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিরাইলকান্দিতে শনিবার সকালে মাদক বিরোধী এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাজার মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। ১১ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি আলী আহামেদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম,এ মাসুদ, মডেল থানার সহকারি পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। সভাশেষে পৌর শহরের ৩টি মাদকের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এক পর্যায়ে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা মাদকের আস্তানাগুলোতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জহিরুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। সে শহরের কুখ্যাত মাদক সর্দার খোকন এর সহযোগী।

পরে অভিযান শেষে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মাদকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিমরাইলকান্দি থেকে সরাসরি পুলিশ ও জনতা মাদকের আস্তানায় হানা দিয়ে অভিযান শুরু করেছে। পরবর্তীতে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এ অভিযান চলবে। এ সপ্তাহের মধ্যেই পৌর এলাকার ভাদুঘর ও কান্দিপাড়ায় অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া টোয়েন্টিফোরডটকম এর এ প্রতিবেদকের সাথে একান্তে আলাপের সময় বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সর্ম্পকে সবার একটা ধারনা আছে যে এটা মাদকের স্বর্গ রাজ্য। আমরা এ কলঙ্ক মুছে ফেলতে চাই । আমরা প্রথমে পৌর এলাকায় সে সব মাদক বিক্রয় কেন্দ্রগুলো আছে সে গুলো উচ্ছেদ করব। পরবর্তীতে মাদকের আগমন রোধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালানো হবে।

এদিকে, পুলিশের এভাবে মাদকের আস্তানা উচ্ছেদকে সাধারন জনগন পজিটিভ ভাবেই দেখছেন । তারা বলছেন, মাদকের সিন্ডিকেট শক্তিশালী হওয়ায় তারা নিজেরা কোন কিছুই করতে পারতেন না। পুলিশের এ অভিযান তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। তারা বলছেন, এ অভিযান সামাজিক অপরাধ বন্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।






Shares