Main Menu

যারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা জোর জবরদস্থি করে তাদেরকে আমি মুসলমান মনে করি না:: মোকতাদির চৌধুরী এমপি

+100%-

MUKTADIR_2716

হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে জেলা পুলিশ আয়োজিত শোক সভা 

ডেস্ক ২৪:: রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশের আয়োজনে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক ্অলহাজ্ব সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনির কামাল, বর্ডার গার্ড ১২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ শাহ আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মোহাম্মদ বজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

শোকসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুতেই হামলায় নিহতদের স্মরণে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করা যায় না। ইসলামে জোরজবরদস্তির জায়গা নেই। যারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা জোর জবরদস্থি করে তাদেরকে আমি মুসলমান মনে করি না। তারা ইসলামের শত্র“। একটি গোষ্ঠী ইসলামকে কলঙ্কিত করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামের নামে কাপুরুষিত হামলা হয়েছে। খাবারের সময় নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলা হয়েছে। গলা কেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসব কাজ ইসলাম কোরআন হাদিসের বিরুদ্ধে। যুদ্ধের ময়দানেও এসব হত্যা করা যায় না। ঐদিনের ঘটনা কারবালার ঘটনার মতই শোকাবহ। এমন ঘটনা চালালে একশ বছরেও সভ্যতা আর সামনে এগোবে না। তারা স্থানীয় জঙ্গী এবং ধর্ণাঢ্য পরিবারের। আমি মনে করি তারা আইএসের সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপর উপর আমাদের সমর্থন রইল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবসময় সহযোগিতা করবে।
সভা শেষে নিহতদের স্মরণে দোয়া করা হয়।






Shares