Main Menu

যাবজ্জীবন সাজা থেকে বাঁচতে এনআইডি কার্ডে নিজের নাম-পরিচয় পরিবর্তন, আলমগীর হল আলআমিন

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনআইডি কার্ডে নিজের নাম-পরিচয় পরিবর্তন করেও শেষ রক্ষা হলো না যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিনের। শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের থলিয়ারা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃত শাহিন সদর উপজেলার নাটাই উত্তর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রবিবার দুপুরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব।

র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ২০১৫ সালে মার্চ মাসে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন সিএনজিচালক উজ্জ্বল। পরদিন বিজয়নগরের বিষ্ণুপুরে ধানক্ষেত তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে উজ্জ্বলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল আলমগীর হোসেন শাহীনের। উজ্জ্বলের সিএনজি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য শাহীন তাকে খুন করে। এ হত্যা মামলার পলাতক আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন। ঘটনার একমাস পর একই বছর ২১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বোল্লা টানপাড়া ব্রিজের নিচ থেকে সিএনজিচালক সোহরাবের হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশি তদন্তে এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়। তদন্তে বেরিয়ে যাত্রী বেশে সিএনজিতে উঠে সোহরাবকে হত্যা করে শাহীন। পরে সিএনজিটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে শাহীন।

এসব ঘটনায় পলাতক আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন যাবজ্জীবন সাজা ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে চলতি বছরের জুলাই মাসে নিজের নাম পরিবর্তন করে আল আমিন নাম ব্যবহার করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। সেখানে তার ঠিকানা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হিসেবে উল্লেখ করে। র‌্যাবের তদন্তে আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন নামে কোনো তথ্য নির্বাচন কমিশনে পায়নি। পরে শাহিন মাদকের একটি মামলায় জেলে ছিল। জেলখানায় নথি থেকে আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন নাম ও ছবি পাওয়া গেলে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

ভুয়া পরিচয় এনআইডি বানানোর ঘটনায় নির্বাচন কমিশন বা অন্য কোন চক্র জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।






Shares