Main Menu

মানসিক ভারসাম্যহীন সেই অন্তর-এর বৃদ্ধা মায়ের চোখের অপারেশন করালেন সেই ব্যাংকার বন্ধুরা

+100%-

s1নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- গত ১৭ অক্টোবর ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দাউরিয়া গ্রামের শিউলী রানী সরকার (অন্তর) এর বৃদ্ধা মা কমলা রানী সরকারের চোখের অপারেশন করালেন ঢাকাস্থ যমুনা ব্যাংকের এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শামীম আহমেদ ও তার বন্ধুরা।

উল্লেখ্য, শিউলী রানী সরকার পাঁচ বছর আগে স্বামী- সন্তানদের রেখে বাড়ী থেকে হারিয়ে যায়। শামীম আহমেদ তার কয়েকজন সহকর্মী বন্ধুদের সাথে গত বছর নভেম্বরে বান্দরবান জেলার থানচিতে ঘুরতে যান। সেখানে শামীম আহমেদ রাস্তার কিনারে মেয়েটিকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি তার সহকর্মী আলী সাব্বির, হাসান ফরহাদ আজাদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে ঢাকা শেরে বাংলা নগর জাতীয় মানসিক হাসপাতালে নিয়ে “অন্তর” নাম রেখে ভর্তি করান। হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিয়ে মেয়েটিকে সুস্থ করে তার পরিবারকে খুঁজে বের করে সরাইল উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবারের কাছে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর নিখোঁজ থাকা শিউলী রানী সরকার নামক গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার বিরলধর্মী মানবিক এ প্রতিবেদনটি গত ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জননন্দিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান “ইত্যাদি” তে প্রচারিত হয়।s2

এদিকে শিউলী রানী সরকার পাঁচ বছর নিখোঁজ থাকার কারণে তার বৃদ্ধা মা কমলা রানী সরকার কাঁদতে কাঁদতে চোখের আলো হারিয়ে ফেলেছেন। বহুদিন পর আপন সন্তানকে ফিরে পেয়েও মমতাময়ী মা নিজ চোখে দেখতে না পারার বেদনাটি ব্যাংকার শামীম আহমেদ ও তার বন্ধু আলী সাব্বির হৃদয়ঙ্গম করে তাদের অন্তরটাও যেন অসীম রোদনে দুলিয়া উঠে।

s3

সদ্য প্রচারিত “ইত্যাদি” অনুষ্ঠানে সেই চেতনা থেকেই তারা প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন, শিউলীর বৃদ্ধা মায়ের চোখের অপারেশন করে তার চোখের দৃষ্টি ফিরিযে আনার ব্যবস্থা করবেন। সে প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী শামীম আহমেদ, আলী সাব্বিরের মত মহানুভব হৃদয়ের বন্ধুরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইয়ামলী খানের মাধ্যমে ষাটোর্ধ্ব কমলা রানী সরকারের চোখের অপারেশন করে মানব প্রেমের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তার তুলনা খুবই বিরল। শামীম আহমেদের এই মহৎ কাজটি নিঃসন্দেহ অনুপ্রাণিত করেছে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ শক্তিশালী করায় উদ্বুদ্ধ হতে।s4

এক প্রশ্নের জবাবে কমলা রানী সরকার বলেন, “আমার চোখ দিয়া সবার আগে সেই শামীম বাবারে দেখতাম চাই, যে আমার মাইয়ারে আমার কাছে ফিরাইয়া দেওনের পর আমার চোখের বাত্তিডা ফিরাইয়া দিছে”।






Shares