Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন

+100%-

bnppressপ্রেস রিলিজ::  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিনা কারণে বিএনপির তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার ও পুলিশী হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: জহরিুল হক খোকন জহির বলেন জনবিচ্ছিন্ন ক্ষমতাসীনদল নিজের সমর্থন তলানিতে ঠেকেছে বুঝতে পেরেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পৌর নির্বাচনের প্রথম দফায় জোর জবরদস্তি ও প্রশাসনের মাধ্যমে ২৩৪টি পৌরসভাতে যে পরিচয় প্রকাশ করেছেন একই কায়দায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও আসন্ন পৌর নির্বাচনে ধর পাকড় ও পুলিশী হয়রানীর মাধ্যমে জনমনে ভয়ভীতি আতঙ্ক সৃষ্টি করে, নেতাকর্মী শূন্য করে,  শাসকদলের প্রার্থীর পক্ষে এক তরফা সুযোগ সৃষ্টি করে বিজয় সুনিশ্চিত করতে চায়।

তিনি বলেন, বিএনপি দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দলের সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। জেলা বিএনপি নেতা মো: মাহিন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজহারুল ইসলাম খোকন, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান রতন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ূন, যুবদল নেতা ইকবাল, শাহেদ, শাহানূর, জাহেদ, জুয়েল, তারেক, সোহাগ খান, ছাত্রদল নেতা রাশেদ, রাজীব, বাবু, সোহেল, শ্রমিকদল নেতা আজিজ, সর্বশেষ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সৈয়দ তাওয়াবুল ইসলাম কার্জন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মো: দেলোয়ার হোসেন দিলিপ সহ আটককৃত সকল নেতাকর্মীদের তিনি অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করার পাশাপাশি অদ্য স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দেয়া বিবৃতিরও কঠোর সমালোচনা করে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন- গ্রেফতারকৃতরা কেহই চিহ্নিত সন্ত্রাসী নয়। বরং অনেকেই সমাজের সম্মানী ও সুনামধন্য ব্যক্তিত্ত্ব। আটককৃত ওয়ার্ড বিএনপির সকলেই সমাজের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং সুনামের সহিত সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় সমাজে তারা সুপরিচ্ছন্ন ইমেজের সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ। ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ আরও যাদেরকে যে সকল মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ঐ সকল মামলা বিগত ১১ ও ১২ জানুয়ারী তারিখে আওয়ামীলীগ, পুলিশ ও মাদ্রাসা ছাত্রদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলের জন্য। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ঐ সকল মামলায় বিএনপি তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়। যখন উক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তখন সকল মহল থেকে দাবী করা হয়েছিল ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের গ্রেফতার করা। কিন্তু বর্তমান পুলিশ প্রশাসন ঐ সকল ভিডিও ফুটেজকে আমলে না নিয়ে শুধুমাত্র আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচনে নির্বাচনী মাঠকে শুন্য করার জন্য বিএনপি তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। ঐ সকল ভিডিও ফুটেজ পূংখানুপুঙ্খভাবে দেখলে বিএনপির কোন নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে না বলেও তিনি পুনরায় চ্যালেঞ্জ করেন।

সবশেষে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বলেন- ভিত্তিহীন বিবৃতি দিয়ে সম্মানি ব্যক্তিদের সমাজে হেয় না করেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনিও একমত হবেন বলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দৃঢ়ভাবে আশা প্রকাশ করেন।






Shares