Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভা : আদালত বর্জন বাড়লো ৩ দিন

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারক এবং নাজিরের অপসারণের দাবি আদায় না হওয়ায় আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় ডাকা তিন দিনের আদালত বর্জন কর্মসূচির শেষ দিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সাধারণসভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা।

নতুন ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার জেলার কোনো আদালতের এজলাসে যাবেন না আইনজীবীরা। এর আগে প্রথম দফায় ডাকা কর্মসূচির শেষ দিনে সকাল থেকে আদালতে যায়নি তারা। আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা তাদের কর্মসূচি পালন করে। এতে করে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

টানা আদালত বর্জন কর্মসূচির কারণে বিচারপ্রাথীরা দূর-দূরান্ত থেকে আসলেও আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় তাদের ফিরে যেতে হয়েছে। এতে তারা দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। ভূক্তভোগী বিচারপ্রার্থীরা জানান, স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম না থাকায় তাদের সমস্যা হচ্ছে। মামলার শুনানি, হাজিরাসহ কোনো মামলারই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে না। কেবল নতুন তারিখ নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও নতুন করে কর্মসূচির সময় বাড়ানোর ফলে বিচারিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভুইয়া বলেন, ‘তৃতীয় দিনের মতো আমাদের আদালত বর্জন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ৩ কার্য দিবসের কর্মসূচি চলাকালে দাবি আদায় না হওয়ায় আদালত বর্জন কর্মসূচি তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।’ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বিচারকরা এজলাসে নিয়মিত আসলেও আইনজীবীরা আদালতে না আসায় আদালতের কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিচার প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গত ১ ডিসেম্বর মামলা দায়ের কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে নারী ও শিশু-১ আদালাতরে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বাকবিতন্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে বিচারক মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এছাড়াও তারা জাল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জাড়িত থাকার অভিযোগ তুলে আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের জন্য জেলা জজের কাছে দাবি জানান।
আইনজীবীরা বিচারক শারমিন নিগার, মোহাম্মদ ফারুক ও নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, নারী ও শিশু-১ আদালাতের বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আদালত চলাকালে কতিপয় আইনজীবীর অশোভন আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি সশরীরে আদালতে হাজির থাকার আদেশ দেন।






Shares