Main Menu

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী বিরোধের জের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল ও মালিহাতা গ্রামের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০

+100%-
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন বুধল ও মালিহাতা গ্রামের লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকে ঘোষণা দিয়ে টানা ৪ ঘণ্টা বুধল ইউনিয়নের মালিহাতা, বুধল ও সরাইল উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটা, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক বসতঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ১২ জন ও গত শনিবার ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়া জানায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বুধল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বুধল গ্রাম ও মালিহাতা গ্রামের কয়েকটি এলাকা নিয়ে গঠিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনে সদস্য হিসেবে শাহানা বেগম নির্বাচিত হন। তবে ওই নারী সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণে ওই আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রার্থী হন জোৎস্না বেগম ও শিউলী বেগম। নির্বাচনে শিউলী বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই বুধল ও মালিহাতা গ্রামে তাদের সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে যায়।

এরই জের ধরে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবারও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে আবারও উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত আইরিন বেগমকে (১৭) জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে বুধল গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে। অন্য আহতরা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


« (পূর্বের সংবাদ)



Shares