Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইজতেমা

+100%-

দেশ, জাতি ও মুসল্লিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শেষ হয়েছে।

আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার ভোর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের জেলা থেকে কয়েক লাখ মুসল্লি শালগাঁও কালিসীমা গ্রামের চৌদ্দ মৌজা ঈদগাহ মাঠে ইজতেমার মাঠে আসতে শুরু করেন। এ সময় মাঠের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মুসল্লিরা হেঁটে মাঠে আসেন। অনেকে মাঠে জায়গা না পেয়ে রাস্তাসহ তিতাস নদীর দুই তীরে এবং নৌকায় বসে মোনাজাতে অংশ নেন।

দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম ও তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশের জিম্মাদার মাওলানা যুবায়ের হোসেন।

ইজতেমার আয়োজক ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, চিকিৎসাসেবা ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়।

ইজতেমায় নজীরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি রয়েছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নৌ-পথে স্পিড বোটে সতর্ক টহল ও নজরদারি। আকাশ ও নৌ-পথের পাশাপাশি সড়ক পথগুলোতে খালি চোখ ছাড়াও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে বাইনোকুলার দিয়ে মুসল্লিসহ সকলের চলার পথ ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা ময়দানকে ঘিরে থাকা সিসি টিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে স্থাপিত পুলিশ র‌্যাবের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মনিটরিং করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর  সদস্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া ইজতেমা মাঠ এবং এর আশপাশ এলাকায় স্থাপন করা হয় ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে ইজতেমা শুরু হয়। তিনদিনব্যাপী ইজতেমায় কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বিরা ছাড়াও দেশ-বিদেশের অনেক আলেম-ওলামা বয়ান করেন।






Shares