Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় অাসনে ৪০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল।যে কারণে বাতিল হল ৪০ জনের মনোনয়ন

+100%-
ছয়টি নির্বাচনী অাসনে বিভক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভোটের মাঠে অবতীর্ণ হতেই জেলার ছয় অাসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৮৬ জন। যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়ে গেলো ৪০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। ২ ডিসেম্বর রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ বাছাইকালে নানান ত্রুটি-অভিযোগে ৪০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সবচে’ বেশি ধাক্কা লেগেছে জেলার ৪ এবং ৬ নং অাসনে। এই দুই অাসনেই মনোনয়ন বাতিল হয় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের। তাদের মধ্যে দুইজন সাবেক সাংসদও রয়েছেন যাদের একজন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১(নাসিরনগর) আসনে দাখিলকারী অাটজন প্রার্থীর মধ্যে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে দুই জনের মনোনয়নপত্র। তাদের মধ্যে ইসির শর্তানুযায়ী এক শতাংশ সমর্থক ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর দাখিল করায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রার্থী মঞ্জু মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-অাশুগঞ্জ) আসনে ২৭ প্রার্থীর মধ্যে বাতিল ঘোষিত করা হয়েছে ১১ জনের মনোনয়নপত্র। তাদের মধ্যে খেলাপী ঋণ থাকায় বিএনপির আক্তার হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকায় বিএনপির আবু আসিফ আহমেদ, হলফনামার সাথে তথ্যের গড়মিল থাকার কারণে জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ইসলামিক ফ্রন্টের মহিউদ্দিন মোল্লা, গণফোরামের শাহ মফিজের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুর রহমান, শাহজাহান আলম সাজু, অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু, অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানভীর হোসেন কাউসার, হাজী ছফিউল্লাহ, মুখলেছুর রহমান এবং গিয়াস উদ্দিন তাহেরির মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনে দাখিল করা ১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পৌরকর না দেয়ায় জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হেলাল, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় বিএনএফ প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ, কর না দেয়ায় খেলাফত আন্দোলন’র মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, আয়কর রিটার্ন দাখিলের তথ্য অসঠিকতার কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সৈয়দ আনোয়ার আহম্মদ লিটন, পৌরকর পরিশোধ না করা-হলফনামায় আয়ের উৎস না থাকায় গণফোরামের অ্যাডভোকেট তারিকুর রৌফের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তাছাড়া ইসি ঘোষিত এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় ত্রুটি থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ্ জামাল রানা, মো. বশির উল্লাহ্ জুরু, মো. অাবু হানিফ, মো. উমর ইউসুফ খান এবং মো. মাঈন উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪(কসবা-অাখাউড়া) আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মনোনয়নপত্রের ফরম নম্বর ২১ পূরণ না করায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এই ফরমে সম্পদ, দায় এবং বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব লিপিবদ্ধ করতে হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান এ অাসনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বিপরীতে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তিনি ছাড়াও বিএনপির আরেক প্রার্থী-আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করাটি গৃহীত না হওয়ায়। এছাড়া ৩৬৮ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল-ঋণ থাকায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন। তাছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আহম্মদ শাহ মুর্শেদ শাহীন এবং ফেরদৌস আক্তারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫(নবীনগর) আসনে মনোনয়ন দাখিল করা ১৫ প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ছয়জনের। তাদের মধ্যে ঋণ খেলাপির অভিযোগে বিএনপির কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, মামলা থাকার কথা উল্লেখ না করায় জাতীয় পার্টির কাজী মামুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েও দলীয় নামে জমা দেয়ায় এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ, অায়ের উৎস অনুল্লেখ করায় ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা মেহেদী হাসানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তাছাড়া ইসি ঘোষিত এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় ত্রুটি থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ভুইয়া এবং সাঈদুল হক সাঈদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬(বাঞ্ছারামপুর) আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন ১০জন প্রার্থী। এর মধ্যে ছয়জনের বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলকৃত প্রার্থীরা হলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী-সাবেক এম.পি আবদুল খালেক, জিয়াউদ্দিন, রফিক সিকদার, জাসদের কে.এম জাবির, জাতীয় পার্টির বেগম জেসমিন নূর বেবী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কবির হোসেন।
জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খান বলেন, ‘যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। যাদের বৈধতা আছে অথচ তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে চান না, তারা ৯ ডিসেম্বরের ভেতরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন।’





Shares