Main Menu

জামাই -শ্বশুর দ্বন্দ্ব

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া আহবায়ক করে ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা

+100%-

মাত্র ১৯ দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় পার্টির দৃশ্যপট। জামাইকে তাড়াতে গিয়ে বাদ পড়লেন শ্বশুর। নতুন কমিটিতে শ্বশুর জায়গায় স্থান করে নিয়েছেন জামাই। কমিটিতে ৯ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বাদ পড়েছেন। ওই বিক্ষোভে জাতীয় পার্টিকে কুকুর বেড়ালের দল বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।

নতুন কমিটির মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার শত্রুতা আবারো প্রকাশ্যে এলো। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতির পদ থেকে অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে বাদ দিয়ে তাঁর মেয়ে জামাই রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহবায়ক করে ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিগত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শ্বশুর-জামাইয়ের বিরোধ চলমান। ওই সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য থাকা জিয়াউল হক মৃধাকে বাদ দিয়ে রেজাউল ইসলামকে মনোনয়ন দেয় জাতীয় পার্টি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। পরে জিয়াউল হক ও রেজাউল ইসলাম দুজনই নির্বাচনে অংশ নেন। যদিও শেষ মুহুর্তে রেজাউল ইসলাম প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ান। আসনটিতে বিএনপি প্রার্থী আব্দুস সাত্তার জয়লাভ করেন।

ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে রেজাউল ইসলামকে বহিস্কারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে গত ৯ ফেব্রুয়ায়ি দুপুরে হওয়া বিক্ষোভ সমাবেশে জিয়াউল হক মৃধা কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জামাতার বহিষ্কার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ১০ দিনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগ্য নেতৃবৃন্দকে নেয়ার দাবিও তুলেন তিনি।

এ অবস্থায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই মতবিনিময়কালে জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ওই সময়ের আন্দোলনে একজনকে বাদ দিয়ে যোগ্য কাউকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। এখন তাঁকে দিয়ে যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। সময়ই বলে দিবে কি হয়।

অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভৃঁইয়া বলেন, যারা আমার বহিস্কার দাবি করেছিল তাঁরা দলের বিরোধীতা করে নির্বাচন (সংসদ) করেছে। কমিটির বিষয়টি সাংগঠনিক ব্যাপার। এক্ষেত্রে আমি এগিয়ে ছিলাম। যারা বাদ পড়েছেন তাঁদেরকেও আহবান জানাই আমাদের সঙ্গে যেন কাজ করে।সূত্র:কালের কন্ঠ






Shares