Main Menu

নুসরাত হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

+100%-

“নুসরাত হত্যার ন্যায়বিচার চাই, চাই দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর উদ্যোগে ৩০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সনাক, স্বজন, ইয়েস, ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সনাক সহ-সভাপতি আবদুন নূর বলেন, সারা দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা – সংখ্যা ও নৃশসংতার মাত্রা বিবেচনায় যে পর্যায়ে পৌছেছে তা অকল্পনীয়। তিনি আরও বলেন আর কোন নুসরাত বা তনু যেন হত্যার শিকার না হয় সেজন্য হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে আইনশৃংখলা বাহিনীর জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করেন তিনি।
মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্যে সনাক এর ইয়েস বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক নন্দিতা গুহ অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন নারী ও শিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করতে অপরাধের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সনাক সহ-সভাপতি শামিমা সিকদার দিনা বলেন, নির্যাতনের শিকার সকল নারী ও কন্যাশিশুদের ন্যায়বিচারসহ সকল পর্যায়ে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আরও বক্তব্য প্রদান করেন সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন এবং টিআইবি’র অবস্থানপত্র পাঠ করেন ইয়েস দলনেতা হৃদয় দেবনাথ। মানববন্ধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইয়েস সদস্য মোঃ আল আমিন ভূঁইয়া। সাম্প্রতিককালে নুসরাতসহ অন্যান্য নারীর প্রতি সহিংসতা ও হত্যাকা-সহ এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সনাক-টিআইবি নিম্নলিখিত সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে:

 দ্রুত বিচার আদালতে নুসরাত হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা;

নুসরাত হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রত্যেকের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় তদন্ত নিশ্চিত করা;

 বাংলাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি অপরাধের শিকার পরিবারকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা;

নির্যাতিত নারী ও কন্যাশিশুদের ন্যায়বিচারসহ সকল ক্ষেত্রে ও পর্যায়ে নারীর অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনসমূহের কার্যকর প্রয়োগ এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, পেশাগত উৎকর্ষ ও কার্যকরতা নিশ্চিত করা;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মক্ষেত্রসহ সকল পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে নারীর নিরাপত্তা বিধান, আর্থ-সামাজিক কর্মকা-ে নারীর পূর্ণ ও সম-অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করা।প্রেস বিজ্ঞপ্তি






Shares