Main Menu

বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোই এ দিবসের মূল লক্ষ্য

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেছেন, দৃষ্টিহীন মানুষের নিরাপত্তার প্রতীক হচ্ছে সাদাছড়ি। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অধিকার সুরক্ষা, সামাজিক মর্যাদা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৫ অক্টোবরকে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাদাছড়ি বহনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোই এ দিবসের মূল লক্ষ্য। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ব্লাইন্ড ইউনিয়নের কংগ্রেসের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আমরা যারা চোখে দেখি আমাদের কর্তব্য হচ্ছে সাদাছড়ি ব্যবহারকারীদের সহযোগিতা করা, তাদের নিরাপত্তা দেয়া। সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া। তাহলেই এই দিবস পালন সফল হবে।

“সাদাছড়ির উন্নতি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অগ্রগতি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গতকাল ১৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে বেলা ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকার বাড়ি, ভাতা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নরকম সুযোগ সুবিধা করে দিচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৪৩ হাজার প্রতিবন্ধীদের মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রয়েছে ৫ হাজার ৭ শত জন। তাদেরকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
সমাজে অসংখ্য দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী লোক আছে। আমাদের সমাজে অনেকে তাদেরকে অবহেলা ও অবজ্ঞা করে থাকে। এমনকি নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছেও তাদের অনেকে অবহেলার পাত্র। তারা আজ অবহেলিত নয়। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও আজ দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রেখে আসছে। তাই তাদেরকে অবহেলা না করে সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গণ্য করা উচিৎ। বর্তমান সরকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উচ্চ শিক্ষা সহ বিভিন্ন সরকারী চাকুরীতে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ্, শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রকল্প সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল মাহমুদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, শহর সমাজসেবা অফিসার শারমীন রহমান চৌধুরী, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা গায়েত্রী দেবনাথ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস এম শাহীন।

আলোচনাসভা শেষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের মাঝে সাদা ছড়ি বিতরণ করা হয়। আলোচনাসভা শেষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের মাঝে সাদা ছড়ি বিতরণ করা হয়।






Shares