Main Menu

তারা অন্ধকারের সরীসৃপ, যারা মানুষকে সত্য শেখানোর কথা তারাই মিথ্যা বলছে- উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী(অডিও)

+100%-

12552537_1699802366907295_8956335378217705894_n

একাত্তর সালে রাজাকার আল বদররা সারা দেশে ধংসলীলা চালিয়েছিল, সেসব রাজাকারদের প্রেতাত্মারাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জঘন্য ধ্বংসলীলা চালায় বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ অাসনের সংসদ সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় অাওয়ামী লীগ নেতা র অা ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি অাজ শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমী অায়োজিত ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা ২০১৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, কোন উসকানি ছাড়াই তারা শহর জুড়ে এ তান্ডব চালিয়েছে। তারা সত্যকে ভয় পায়। তার অন্ধকারের সরীসৃপ। যারা মানুষকে সত্য শেখানোর কথা তারাই মিথ্যা বলছে। তাদেরকে আমি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করি।

সাংসদ চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, তাদের কেউ কেউ আমার মাথা চেয়েছে। আমি প্রস্তুত। জন্ম মৃত্যু আল্লাহের হাতে। মৃত্যুর ভয়ে আমি ভীত নয়।

ছবি ছেড়া প্রসঙ্গে তিনি উপস্থিতির মাঝে প্রশ্ন ছুড়ে দেন আপনারা মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী কিনা ? জবাবে “হ্যা” ধ্বনি পাওয়ার পর এমপি বলেন, আমার ছবি ছেড়া হয়েছে তাতে আমি দুঃখ পায়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবিতে যারা হাত দিয়েছে তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে।
12522973_1699802393573959_3501752997242957499_n

মুক্তিযোদ্ধা সংসদে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদে যারা হামলা করতে পারে তারা বেজন্মা।

রেলওয়ে ষ্টেশনে হামলার ক্ষোভ প্রকাশ করে সংসদ সদস্য বলেন, এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানি ভাবাদর্শ যারা ধারণ করে তারাই জাতীয় সম্পদ রেলে হাত দিয়েছে। প্রতিটি ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ দাবি করে তিনি বলেন, তান্ডবলীলার ফুটেজ দেখে একে একে ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন। তিনি বলেন, এই বেজন্মারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উঠায় না, জাতীয় সঙ্গীত গায় না। অাচার-অাচরণে তারা পশুর ন্যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদেরকে অামরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবো।

দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সম্পর্কে তাদের ধারনা নেই। যাদের নাম বলে বলে মুখে ফেনা তুলে তারা তার নখের যোগ্যও হবেনা।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে জামিয়া ইউনুসিয়ার করা সংবাদ সম্মেলন নিয়েও কথা বলেন এই নেতা। সংবাদ সম্মলনে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নামে অপবাদ না দেয়ায় তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, তাদের অন্তত শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, সেই তদন্তের আগে ইমান আমলকে স্বাক্ষী রেখে জামিয়া ইউনুসিয়া কর্তৃপক্ষকে একটি কমিটি করে দোষিদের খোঁজে বের করার আহবান জানান।

মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, মামলা যে গুলো হয়েছে সে গুলোর দ্রুত অগ্রগতি প্রয়োজন। আর মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ যদি ছাত্রলীগের কারো নামে মামলা দেয়, তবে তাদের নামেও মামলা হবে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর যুগ্ম সম্পাদক অালেয়া জাহান তৃপ্তির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, দোষিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সম্পাদক ওসমান গণি সজীব। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এম এ মাসুদ, পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অাল মামুন সরকার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত, ফটোগ্রাফি, যন্ত্রসঙ্গীত, লোকসংস্কৃতি ও যাত্রা শিল্প- এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, সঙ্গীতে সন্ধ্যা রায়, ফটোগ্রাফিতে মানিক লাল বণিক, যন্ত্রসঙ্গীতে মো. শামসুদ্দিন খান, লোকসংস্কৃতিতে দূর্গাচরণ দাস ও যাত্রা শিল্পে চন্দ্রা রাণী দাস।






Shares