Main Menu

ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মার্কেট উচ্ছেদের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

জায়গাটি পুকুর ছিলনা বলে দাবি মালিকপক্ষের

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরের প্রাণকেন্দ্র কোর্ট রোডের গোলাপ রেস্ট হাউজ সংলগ্ন পুকুর ভরাট করে নির্মিত মার্কেটটি (অস্থায়ী সুপার মার্কেট) গত মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই জায়গার মালিকপক্ষ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জায়গার মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, নালিশা ভূমিটি ১৯৭২ সালে তারা খরিদসূত্রে মালিক হয়ে সেখানে গোলাপ রেষ্ট হাউজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। গোলাপ রেস্ট হাউজের অবকাঠামো ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর আগে ওই বিল্ডিং ভেঙ্গে সেখানে বহুতল বিশিষ্ট বিপনী বিতান নির্মানের জন্য নকশা প্রস্তুত করে বিধি মোতাবেক উক্ত নকশা পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিস থেকে অনুমোদন নেয়া হয়। পরে সেখানে তারা অস্থায়ীভাবে ৭২টি টিনশেড দোকান করিয়া ব্যবসা করে আসছেন।
কিন্তু গত মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন ধরনের সুযোগ না দিয়ে ৭২টি টিনশেড দোকান উচ্ছেদ করে। এতে তাদের প্রায় ১ কোটি টাকার মালামাল এবং ১০ কোটি টাকার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাপ রেষ্ট হাউজের পুকুরটি রাতের বেলা বালি ফেলে কেন ভরাট করা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, গোলাপ রেস্ট হাউজের জায়গায় বহুতল বিশিষ্ট মার্কেট নির্মান করার পরিকল্পনা করে সেখান থেকে মাটি কেটে গভীর করা হয় (ট্রেন্স কাটা হয়)। পরবর্তীতে সেখানে অস্থায়ী টিনশেড মার্কেট করার সময় ট্রেন্সকৃত স্থান বালি দিয়ে ভরাট করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জায়গার মালিক মোঃ জাহাঙ্গীর কবির, গোলাপ মিয়া, তাদের ভাই মোঃ সেলিম কবির, শফিক মিয়া প্রমুখ।






Shares