Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কমিউনিটি পুলিশের সম্মেলন ২০১৬

জনগণের সমর্থন নিয়ে এই দেশ থেকে জঙ্গিবাদকে নির্মূল করব:: আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক

+100%-

igpbডেস্ক ২৪:: পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘জনগণের সমর্থন নিয়ে এই দেশ থেকে জঙ্গিবাদকে নির্মূল করব। যেসব জঙ্গি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল, অল্প সময়ের মধ্যে যেভাবে আমরা তাদের দমন করেছি তা অন্য দেশের জন্য রোল মডেল হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর। সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বিশ্বাস করে। সরকারের পরিচালনায় আমরা এই জঙ্গিবাদকে নির্মূল করব। প্রত্যেকটা এলাকা, প্রত্যেকটা পরিবার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুর্গ হবে এবং প্রত্যেকটা পরিবারকে একেকটা করে দুর্গ গড়ে তুলব। এভাবেই এই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে।’

তিনি শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে কমিউনিটি পুলিশের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ইসলামের নামে জঙ্গিরা নামাজ পড়া অবস্থায় ইমাম-মুয়াজ্জিনকে হত্যা করছে, ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়া মুসল্লিদের মারছে, আমাদের দেশে যারা বিনিয়োগ করতে আসে তাদের হত্যা করছে। কিন্তু ইসলামে কোনো মানুষ হত্যাই জায়েজ নয়। জিহাদ-খিলাফত প্রতিষ্ঠার নামে যে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে এরা বেশিদিন টিকবে না, কারণ দেশের জনগণ তাদের সমর্থন করে না। সম্প্রতি দেশে যেসব জঙ্গি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ আমরা নির্মূল করেছি, বাকিগুলোও নির্মূল করে দেয়া হবে। বাংলার মাটি থেকে চিরতরে জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রতিটি পরিবারে প্রতিটি ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের অভিযান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন? কেন জঙ্গিদের জীবিত গ্রেফতার করা হয় না? পুলিশ কেন আহত হয় না? এসব প্রশ্নে পক্ষান্তরে জঙ্গিরা উৎসাহী হয়। জঙ্গিদের কাছে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, তাদের ধরতে গেলে তো আগে আমাকেই মারবে! জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ এখন রোল মডেল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করছে। কিন্তু একশ্রেণীর লোক এটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। যদি আমরা এভাবে জঙ্গিবাদ দমনে ভূমিকা না রাখতাম তাহলে দেশের শান্তি নষ্ট হতো, মানুষ ঘর থেকে বেরোতে সাহস পেত না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম,  জেলা প্রশাসক ড. রেজওয়ানুর রহমান, পৌর মেয়র নায়ার কবির ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।

igp1এর আগে আইজিপি দুপুরে শহরের কোট এলাকায় নতুন পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন করেন এবং একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের দিতীয় পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্হানীয় শিল্পী সহ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন নকুল বিশ্বাস, মুন্নী ও রিংকু।।

 






Shares